বর্তমানে বাজারে গেলে সরকার নামে দেশে কোনোকিছুর অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেছেন, যেভাবে একের পর এক ভবনে বিস্ফোরণ হচ্ছে, ঠিক একইভাবে ভোটবিহীন এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধেও যেকোনো সময়ে গণবিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। শুক্রবার রাজধানীর ইনস্টিটিশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলয়নায়তনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৩য় ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সাইফুল হক বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের নজিরবিহীন লুটপাট ও দুর্নীতির ফলে গোটা দেশ এখন কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকার আবারো নানান কায়দায় ২০১৮ সালের ন্যায় আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, গত ৫২ বছরে বাংলাদেশ লুটেরাদের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাই জনগণের মনের কথা বলার জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের কথা বলার জন্যই বাংলাদেশ কংগ্রেসের জন্ম হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে যেমন দলটির জন্ম হয়েছে, ঠিক তেমনি আগামী দিনের যেকোনো ধরনের লড়াই সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত থাকতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। দলের মহাসচিব এডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)’র মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ন্যাপ (মোজাফফর)’র সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাদ্দাম হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির প্রমুখ বক্তব্য দেন। নেতৃবৃন্দ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এর আগে সকালে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলেনের পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. শফিকুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। বাংলাদেশ কংগ্রেসের শীর্ষপদে সাবেকরা: বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।
দলের শীর্ষ পদে আবারো সাবেক নেতৃবৃন্দকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শুক্রবার কাউন্সিলের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত কর্ম অধিবেশনে এডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন দলটির চেয়ারম্যান ও এডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম মহাসচিব হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে দলের সংশোধনী গঠনতন্ত্র পড়ে শোনান কংগ্রেসের গঠনতন্ত্র উপ-কমিটির আহ্বায়ক এবং পার্টির যুগ্ম মহাসচিব তোফায়েল হোসেন। পরে দলের চেয়ারম্যান বিগত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর ৩ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড আগামী ৩ বছরের জন্য ৭১ সদস্যবিশিষ্ট দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নাম প্রস্তাব করে এবং উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমর্থন দিলে সেটা নির্বাচিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।