শরীয়তপুর সদর উপজেলার বাইপাস সড়ক আংগারিয়ার বড় ব্রিজ পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়নের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঠিকাদারের গাফিলতি আর কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও সঠিক তদারকি না থাকায় ৭ কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে থাকা ১৯টি তোরণের খুঁটি রেখেই করা হয়েছে পিচ ঢালাই। এরইমধ্যে তোরণ অপসারণ না করেই সড়কটির সংস্কারের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দায়িত্বহীনভাবে রাস্তা সংস্কারের কাজ করায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এই সড়কটি দিয়ে পাশের জেলা মাদারীপুর, রাজধানী ঢাকাসহ জেলার ৬ উপজেলার মানুষের যাতায়াত। প্রতিদিন শতশত হালকা থেকে ভারী যানবাহন চলাচল করে সড়কটিতে। সড়ক ও জনপথ সূত্রে থেকে জানা যায়, শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের জুলাই মাসের শেষের দিকে ২১-২২ অর্থবছরে ৭ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কার্যাদেশ পায় মেসার্স আবিদ মনসুর। রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে ২০২২ সালের ১০ নভেম্বরে। আর সমাপ্ত হয় ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারীতে। আংগারিয়া ইউনিয়নের কৃতিনাশা নদীর ব্রিজ থেকে শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কটি ২৪ ফুট চওড়া করার কথা। স্থানীয়রা জানান, জেলার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি সড়কের ওপর তোরণ থাকায় নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। সামনে ঝড় তুফানের দিন সড়কের ওপর দাড়িয়ে থাকা তোরণ গুলো পথচারী ও যানবাহন চলাচলের সময় ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত এ তোরণ অপসারণ করার দাবি স্থানীয়দের। তারা আরো বলেন, রাস্তার দু’পাশ প্রশস্ত করার কথা থাকলেও তা যথাযথ করা হয়নি। রাস্তা টিকে থাকার জন্য দু’পাশে যে ইটের এজেন্ট ব্যবহার করার প্রয়োজন ছিল তাও করা হয়নি। এ বিষয়ে জানার জন্য ঠিকাদার সিরাজ সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুহিবব্বুল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের তোরণ তাঁরা না সরালে কারা সরাবে। তোরণ না সরানোর ফলে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে ঠিকাদার ৩ বছরের মধ্যে মেনটেনাস করে দিতে বাধ্য। অন্যদিকে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, এটা আবার কি নিউজ। তোরণ এতো গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য তোরণ খুব ইম্পোর্টেন্ট নিউজ। তোরণ গুলোতো রাস্তার ওভারলেপে রয়েছে রাস্তাটি ফোরলেনের জন্য প্রস্তাবিত ফোরলেন যখন হবে তখন অপসারণ করা হবে।