পুরো সিরিজে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছে বাংলাদেশ। চোখে পড়ার মতো উন্নতি হয়েছে। আজ যেমন মেহেদি হাসান মিরাজের এক থ্রোতেই ঘুরে যায় ম্যাচ। ইংলিশ কোচ ম্যাথিউ মটও স্বীকার করেছেন, এমন দুর্দান্ত ফিল্ডিং ম্যাচটাই ঘুরিয়ে দিয়েছে।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও দলের ফিল্ডিংয়ে দারুণ সন্তুষ্ট। কথায় কথায় বললেন, এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং সাইড হওয়ার পরিকল্পনা তাদের। এক পর্যায়ে বলেই ফেললেন, সম্ভবত এই দলটাই এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং সাইড।
ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই শেষে সাকিব সংবাদ সম্মেলনে ফিল্ডিং প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল হওয়ার। মনে হয় না আমরা খুব বেশি পিছিয়ে আছি। আমি বলব, এ দলটা হয়তো এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল।’ ইংল্যান্ডের ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে সাকিব বলেন, ‘ইংল্যান্ড এত ভালো একটা ফিল্ডিং সাইড। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা তিন খেলাতেই তাদের চেয়ে ভালো ফিল্ডিং করেছি।’
অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ধবলধোলাই এড়াতে রোববার ইংল্যান্ডকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ফিলিপ সল্টের উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। ডেভিড মালান ও জশ বাটলার মিলে ১৩ ওভারেই তিন অংকের ঘরে পৌঁছে দেন দলকে। দু’জনই ব্যাট চালাতে থাকেন সাহসী মনে। এর মাঝে অর্ধশতক তুলে নেন মালান।
তখন অনেকটা মনেই হচ্ছিল, ম্যাচটা হয়তো ফসকেই গেছে বাংলাদেশের হাত থেকে। তবে এ সময় বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে মালানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মুস্তাফিজ। পরের বলে মিরাজের ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মালান। আর তাতেই ছন্দ পেয়ে যায় বাংলাদেশ, বদলে যায় ম্যাচের মোড়।
পরিসংখ্যান হয়তো বলবে মোটে একটা উইকেট মোস্তাফিজের দখলে, তবে বাস্তবতা হলো, ওই একটা উইকেট খুবই মূল্যবান ছিল আজকের এই জয়ে। তার সেই এক উইকেটে ভর করেই ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত জিতেও যায় টাইগাররা। মূলত তার ৪ ওভারই ম্যাচে টিকিয়ে রাখে বাংলাদেশকে। যেখানে মোটে ১৪ রান দিয়েছেন তিনি।
বিষয়টা মানছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টই বললেন, ‘ওই ওভারে দুই সেট ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ পুরোপুরি বদলে গেছে। সেখান থেকে আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই এবং তাদেরকে চাপে রাখতে থাকি। আমি মনে করি, মোস্তাফিজ চমৎকার ছিল আজকে। চার ওভারে সে মাত্র ১৪ রান দিয়েছে। অবিশ্বাস্য ভূমিকা রেখেছে সে এই দলের জন্য।’
তবে শুধু মোস্তাফিজ নয়, অন্য বোলারদের পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট অধিনায়ক সাকিব। তাদেরকে ঘিরেই আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘সব বোলারই ভালো বল করেছেন। তারা সব সময়ই ভালো করেছেন। ব্যাটাররাও তাদের ভূমিকা রেখেছেন। আগামী বছরের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সব মিলিয়ে ভালো শুরু হয়েছে। এখান থেকে আমরা ভালোমতো এগিয়ে যেতে পারি।’