ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৬টি অসহায় ভূমিহীন পরিবারের নামে সরকারী জমি রেজিস্ট্রি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর নির্দেশে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বনি আমিন তত্ত্বাবধানে ৬টি অসহায় ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের নামে রবিবার দুপুরে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জমি রেজিস্ট্রি কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। যারা ৪র্থ পর্যায়ে আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছেন তারা হলেন,শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের শম্পা খাতুন, নলখোলা গ্রামের সাদ্দাম আলী, নলখোলা গ্রামের শুকজাহান বেগম,নলখোলা গ্রামের নাসিরুল হক, নলখোলা গ্রামের কোরবান আলী, নন্দীগাতি গ্রামের আলো খাতুন। সারাদিন কায়িক পরিশ্রম শেষে এখন আর ফুটপাত বা অন্যের ঘরে ফিরতে হবে না। ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্র বিধবা শুকজাহান বেগম এখন প্রতিদিন ফিরতে পারবেন নিজ ঘরে। শুধু ঘরই নয়, থাকছে নিজ নামে দুই শতক জমি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, সুন্দর বারান্দাসহ বসবাসের নিরাপদ সুযোগ সুবিধা। শুকজাহানের মত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া স্বপ্নের বাড়ি। শৈলকুপা উপজেলায় ৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পাচ্ছেন‘স্বপ্নের নীড়’। গৃহহীনদের মধ্যে দলিল,নামজারী খতিয়ানসহ গৃহ হস্তান্তর করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ শে মার্চ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ইতিমধ্যেই চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, রবিবার দুপুরে তাদের নিজ নিজ নামে জমি রেজিস্ট্রিও করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য শৈলকুপা উপজেলায় ৪ টি পর্যায়ে মোট ১০৮ জনকে পুর্নবাসন করা হয়েছে ও ৯ টি গৃহের নির্মাণ কাজ চলমান আছে। অচিরেই শৈলকুপা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপজেলা সহকারী কমিশানার (ভূমি) মোঃ বনি আমিন বলেন, এসব ঘরে আশ্রয় পাওয়াদের অধিকাংশই রাস্তার ধারে ফুটপাতে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা বা কারও আশ্রয়ে বসবাস করতেন। তারা এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পাবেন। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান যেমন উন্নত হবে তেমনি পূরণ হবে নিজেদের ঘরের আকাঙ্খা। আর এটি সম্ভব হচ্ছে মানবতার জননী শেখ হাসিনা গৃহীত আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে।