রূপগঞ্জ থেকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে ভারতে পাচার হওয়া দুই তরুণী কৌশলে পালিয়ে জীবন রক্ষা, মহেশপুর সীমান্ত থেকে উদ্ধার। এলাকাবাসী ও মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরে ১ জানুয়ারী চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে নারায়গঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থেকে দু তরুণীকে একটি পাচারকারী সিন্ডিকেট মহেশপুর গোপালপুর সীমান্ত দিয়ে পাচার করে দেয়। তাদেরকে ভারতের বাগদা এলাকায় একটি দালালের বাড়িতে রাখা হয়। পাচার হওয়া দু তরুণী দালাল চক্রের কাঁনা ঘোষায় জানতে পারে তাদেরকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে এবং মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হবে। তারা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাগদায় পরিতোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে কিছুদিন থাকার পর ওই তরুণীরা মোবাইলে তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করলে ১৮ মার্চ দিবাগত রাতে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানা পুলিশ মহেশপুর থানার সহযোগিতায় গোপালপুর বর্ডার থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে। নারায়নগঞ্জ থানার এসআই মিজানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের প্রথমদিকে উচ্চ বেতনে চাকুরীর পলোভনে পড়ে তারা পাচার হয়ে যায়। পাচার হওয়া ভিকটিমের মা মুক্তা রানী রায় বাদি হয়ে গত ২৫/১/২৩ইং তারিখে রুপগঞ্জ থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করেন। যার নং-৫৩(১)২৩। তিনি আরো বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ১নং আসামী নবি মিয়া আটক আছে। অন্যান্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে। মহেশপুর থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, তাদের নলেজে দিয়েই রুপগঞ্জ থানার পুলিশ ভিকটিমদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।