মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহে চোখ জুড়াতে আসছেন ফুলপ্রেমী দর্শনার্থী। আর এ দৃশ্যের দেখা মিলছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শিবপুর উত্তর পাড়া কৃষি মাঠে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখীর চাষ। স্বল্প খরচে বেশী লাভ ফলে চাষিরা ঝুকছে সূর্যমুখীর চাষে। তাই সূর্যমুখীর বীজের অনেক চাহিদা। সয়াবিন তেলের থেকে সূর্যমুখীর তেল বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন বলে জানা গেছে। চিতলমারী হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠশ্রেণীর শিক্ষার্থী তামান্না হকের(১২) সাথে কথা হলে তিনি জানান, সূর্য্যমুখী সৌন্দয্যের প্রতীক, দেখতে যেমন সুন্দর এর বীজের তেলও অনুরুপ সুন্দর। এর হলুদ পাপড়ী মানুষকে আকৃষ্টকরে। এছাড়া ফুল ও ডাল-পালা জালানী হিসেবে ব্যবহার হয়। স্থানীয় কামরুজ্জামান বলেন সূর্য্যমুখী অর্থকারী ফসল সূর্যমূখী চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। সামান্য সার এবং সেচ দিতে হয়। নভেম্বরে বীজ বপনের পর ৯৫ দিনের মধ্যে তোলা যায়। প্রতি বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত বীজ থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘরে আসে। চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এ বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। গুনগতভাবে সূর্য্যমুখীর তেল অতুলনীয় এর আবাদ বাড়াতে চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।