আগৈলঝাড়ায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রথমবারের মতো রিফ্লেকটিভ লাইট বসানোর ফলে কমে এসেছে দুর্ঘটনা। এই রিফ্লেকটিভ লাইট স্থাপনের মাধ্যমে গাড়ির হেড লাইটের আলোয় সড়কের মধ্যবর্তী ও দুই পাশের লেইন হবে আলোকিত। রাতে সড়কটি শোভা ছড়ানোর পাশাপাশি সড়কের লেইন বুঝতে সহজ হবে চালকের। রাতে সড়কে গাড়ির হেড লাইটের আলো পরলেই জ্বলে উঠবে সড়কের মধ্যবর্তী ও দুই পাশের লেইন। ফলে নির্বিঘেœ চলাচল করবে গাড়ি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন বরিশাল-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে গৌরনদী টু আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কে পি এম পি’র আওতায় প্রথমবারের মতো বসানো হয় ৩ হাজার ৫শ রিফ্লেকটিভ লাইট। কুয়াশার মধ্যে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে এই রিফ্লেকটিভ লাইটগুলো। এছাড়া নির্দিষ্ট লেইনে গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করবে এ লাইট। এই রিফ্লেকটিভ লাইট বসানোর ফলে ইতিমধ্যে সড়কে কমেছে দুর্ঘটনা। সড়কের মাঝখানে সাদা মার্ক করে দেয়া স্থানে প্রায় ৫ মিটার দূরত্বে পুরো সড়কে হলুদ রং এর এবং বাঁক গুলোতে দুই পাশের সাদা মার্ক করে দেয়া স্থানে লাল রং এর রিফ্লেকটিভ লাইট গাড়ির লেইন বরাবর স্থাপন করা হয়। এগুলো ভারী যানবাহানের চাপ সহ্য করতে সক্ষম। রিফ্লেকটিভ লাইট মূলত রাতের বেলায় সড়কে নির্বিঘেœ গাড়ি চলাচলে নিরাপত্তামূলক নির্দেশিকা প্রদানের পাশাপাশি রাতে সড়কে ছড়াচ্ছে মনোরম শোভা।বাস চালক জসিম, আকবর হোসেন, রনজিৎ সরকার, ট্রাক চালক বিভাষ কর, জালাল মোল্লা, হাসান শিকদার, প্রাইভেটকার চালক ইমদাদুল ইসলাম, নয়ন শেখ, রহমান রনি, মোটরসাইকেল চালক হামিম পাটোয়ারী, পলাশ মিস্ত্রি, জয়ন্ত বালা, হাবিব রহমানসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানান, রিফ্লেকটিভ লাইট স্থাপনের ফলে ঘন কুয়াশায়ও রাস্তা দেখতে সমস্যা হয়না তাদের। ঝড়-বৃষ্টিতে সড়ক ভেজা থাকলেও রাস্তা দেখা যায় সুন্দরভাবে। সড়কের বাঁকগুলো স্পষ্টভাবে দেখতে পায় তারা। এমনকি চলাচলের সময় ঘুমের ভাব আসলেও তাদের গাড়ির হেড লাইটের আলো এই রিফ্লেকটিভ লাইটের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে তাদের চোখে পড়লে কেটে যায় ঘুমের প্রভাব। স্থানীয় পলাশ মিস্ত্রী, জয়ন্ত বালা জানান, এই লাইটগুলো বসানোর পর বেড়েছে সড়কের সৌন্দর্য। এই সড়কে বাঁক বেশি থাকায় আগে রাতে চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটত। প্রায় সময় বিভিন্ন মালামাল বহনকারী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে জমি বা খাদে পড়ে। সম্প্রতি রিফ্লেকটিভ লাইটগুলো বসানোর পর আগের চেয়ে কমেছে দুর্ঘটনা। বরিশাল সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অরুণ কুমার বিশ্বাস জানান, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করার জন্য এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার লোকজন চলাচল করে থাকেন। তাই চলাচলের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে বরিশাল-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে গৌরনদী টু আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কে ৩৫’শ রিফ্লেকটিভ লাইট স্থাপন করা হয়েছে। শুধু আগৈলঝাড়ায় নয় বরিশালের বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে ইতিমধ্যে রিফ্লেকটিভ লাইট স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।