আমি পাগল হয়ে গেছি। এই দুনিয়া কেউ খোঁজ-খরব রাখার নেই। আমি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ৬/৭লাখ টাকা ব্যয় করে তরমুজ চাষাবাদ করেছি। যার থেকে আয় আসতো প্রায় ১৪/১৫লাখ টাকা। পুরো সবই মার খেয়েছি। ভাবছি কৃষি কাজ করলে কৃষি অফিস খোঁজ-খবর নিবে। উৎপাদনের সময় পাশে থেকে পরামর্শ দিবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। বাস্তবে মাঠে নেমে দেখি কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুধু অফিসে বসে বসে সরকারের বেতনটি নিচ্ছে। এমন আক্ষেপের কথা গুলো বলছেন আবু বকরপুর ইউনিয়ন ওসমানগঞ্জ গ্রাম ২নং ওয়ার্ডের নতুন কৃষি উদ্যোক্তা শিক্ষিত বেকার যুবক আল আমিন। চরফ্যাশনে হঠাৎ করে প্রবল বৃষ্টিতে উপজেলার তরমুজ বিনষ্ট ওয়ায় তরমুজ চাষীরা হতাশা হয়ে পড়েছে। ব্যাংকের ঋণ ও দেনাদারতে চাপের খে দিশেহারা হয়ে দেশ ছাড়ার আশংক্যা করছে। তবে উপজেলা কৃষি অফিসার ওমর ফারুক শিক্ষিত বেকার যুবক আল আমিন কৃষিকাজে ক্ষতিগ্রস্থ কথা শুনে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা আশ্বাস প্রদান করেন। ঋণ বা দাদনের টাকায় তরমুজ চাষ করা কৃষকরা দুশ্চিন্তায় অনেকে পাগলে প্রলপ। নজরুল নগর ইউনিয়নের তরমুজ চাষী আলী হোসেন বলেন, তার ২ একর জমির তরমুজ দেরীতে চাষাবাদ করেছে। ফুল ফুটে এখন তরমুজ বড় হতে শুরু করেছে। হঠাৎ বৃষ্টির পানিতে তার আর ফলন হওয়ার আশা নেই। তিনি ব্যাংকের ঋণ ও দেনাদারের টাকা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার ওমর ফারুক বলেন, এ বছর তরমুজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৮২৭ হেক্টরেরও বেশি। তবে এ উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নের মধ্যে কমবেশ সব ইউনিয়নে তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে কিছু হেক্টর জমির তরমুজ ক্ষতি হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার চেষ্টা করব।