চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দানব পরিবহণ ট্রাক্টর ও ট্রলির পেটে গ্রামীন কাঁচা পাঁকা রাস্তা। মাটি বহনকারী ওই গাড়িগুলোর কারনে গ্রামীণ রাস্তায় বেশিরভাগ গর্ত তৈরি হয়ে থাকে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে দানব পরিবহন হিসেবে খ্যাত (ট্রাক্টর) এবং হর্ন-ব্রেকবিহীন ট্রলি। ওই দানবগুলো প্রতিনিয়তই চলতে গিয়ে রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে হাঁটু গর্তে পরিণত হচ্ছে। বিলিন হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নতুন পুরাতন কাঁচা পাকা রাস্তা। এছাড়া অদক্ষ চালকেরা বেপরোয়া ভাবে এ দানব গাড়ি চালানোর কারণে চাকার নিচে পড়ার আশংকা প্রকাশ করে অনেকেই- মন্তব্য করছেন-অকালে নিভে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। সম্প্রতি শুকনো মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে মাটি বহনের কাজে ওই সব দানব পরিবহণ ট্রাক্টর-ট্রলি নির্বিকারে চলাচলে ধুলা-বালিতে এলাকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। সেই সাথে গ্রামাঞ্চলের রাস্তা-ঘাটের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি অবাধে চলাচল করায় অঘটনের আশঙ্কা জাগছে জনসাধারণের মনে। ফলে মানুষকে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। রাস্তা-ঘাটে চলাচল আতংকে থাকতে হচ্ছে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থী ও সকল বয়সী মানুষকে। সড়কে চলার পথে কখন যেন দানব ট্রাক্টর আসে এমন ভীতি বিরাজ করে পথচারীদের মনে। জানা গেছে, প্রশাসন কর্তৃক এই দানব ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও ফরিদগঞ্জে রহস্যজনক কারণে অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে উপজেলাসহ-উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে। দানব পরিবহন হিসেবে খ্যাত ওই ট্রলি-ট্রাক্টরগুলো বেপরোয়া চলাচল করার ফলে বেড়ে গেছে দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগী জনসাধারণ উদ্বিগ্ন উতকন্ঠা ও হতাশার মধ্যে চলাচল করছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে একাধিক সাধারণ মানুষ আক্ষেপের সহিত জানান, এলাকার ইটভাটা মালিক ও প্রভাবশালী মহলের ক্রয়কৃত ওইসব দানব ট্রাক্টর-ট্রলি জমি থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বহন করা হচ্ছে। নিয়ে যাচ্ছে বালু মাটি এবং ইট। এতে করে যেমন নিচু হচ্ছে জমি, অপরদিকে ভেঙ্গে ধুলিস্সাত হয়ে যাচ্ছে গ্রামের একমাত্র যোগাযোগের কার্পেটিং রাস্তা ও মেঠোপথ। জলান্জলিতে পরিনত হচ্ছে উন্নয়নশীল সরকার ও জনসাধারণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের ওই সব রাস্তা, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, জনসাধারণ থাকছে প্রানহানির আশংকায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে অকালে নিভে যাচ্ছে তাঁজা প্রাণ। পঙ্গুত্ব বরন করেছে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বয়সী মানুষ। দানব পরিবহনের মালিকেরা যে কোন ধোঁয়াসা ক্ষমতার অধিকারী হয়ে রাস্তার রাজা হিসেবে নির্বিকারে গাড়ী চালিয়ে আসছে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে জনসাধারণ। ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটলে ততসামান্য চিকিৎসা খরচ দিয়ে পুনরায় সড়কে চলছে ইটভাটার ওই সব দানব। একটা অপরাধ অনিয়ম নিয়ে পথ চলা যেখানে জীবনের ঝুঁকি, সেখানে এতো ক্ষতির আশঙ্কা নিয়ে এ দানব ট্রাক্টর কি করে চলে প্রশ্ন সচেতন মহলের। কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক এবং সিএনজি চালক বলেন, কতৃপক্ষ শুধু আমাদের উপর বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে থাকেন। কিন্তু ওই সব দানব পরিবহণের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগী জনসাধারণ অতি দ্রুত ওই সব সমস্যা সমাধান-ওই দানব পরিবহণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।