মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কমিশন ভাবছে না: ইসি আলমগীর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জে লিচুগ্রামে লিচুর খরা ডিপজলের সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের ব্যাটারিচালিত রিকশা কোথায় কীভাবে চলবে নির্দেশনার পর ব্যবস্থা: ডিএমপি টানা সাত কার্যদিবস পতনে শেয়ারবাজার ইরানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন পরমাণু আলোচক বাঘেরি ইব্রাহিম রাইসির উত্তরসূরি কে এই মোহাম্মদ মোখবের

কালীগঞ্জে মাজরা ও নেক ব্লাষ্টা রোগে ধানের সর্বনাশ, কৃষকের মাথায় হাত

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইরি বোরো ধান খেতে নেক ব্লাষ্টর রোগে প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। এতে নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। কীটনাশক প্রয়োগেও প্রতিকার মিলছে না। ফলে খেতের ফসল হারানোর শঙকায় হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কালীগঞ্জে একটি পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নে, ৯ হাজার ৮ শত হেক্টর জমি রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলন ৬ হাজার ৯ শত ২৫ হেক্টর, ২ হাজার ৮ শত ৭০ হেক্টর হাই ব্রিড, স্থানীয় ৫ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়েছে। রোপণকৃত বোরো ধান মাজরা ও নেক ব্লাষ্টা রোগে হওয়ায় বিপর্যয়ের মূখে পড়েছেন কৃষক। জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দুর্শ্চিতায় আছেন তারা। সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বির্স্তীণ জমির ধানগাছের ৬০ ভাগ থোড় (শিষ) বেরিয়েছে। এর অধিকাংশ শিষ মাজরা ও নেক ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। বরাইয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন- ঋণ করে ২ বিঘা জমিতে ব্রি ২৮ রোপণ করি, রোগে আক্রান্ত হয়ে সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমি কি খাই আর ছেলে-মেয়েদেরকে কি খাওয়াই। জাহাঙ্গীর আলম খান, মিয়াজ উদ্দিন বেপারী, নাজির উল্লাহ, মোক্তার হোসেন, দুলাল, জয়নাল খন্দকার, সিদ্দিক বেপারী, মামুন, আক্তার উজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, কবির বেপারী, চাঁন মিয়া, ইসমাইল, রিপন, শরীফ শেখসহ একাধিক কৃষক জানান, এই ধানের খড় গরুও খেতে চায় না। শীষ মরা রোগে সমস্ত জমির ধান চিটা হয়ে গেছে। লাভ তো দুরের কথা, খাবারই জুটবেনা। জমির মালিক যদি ছাড় না দেন বাজার থেকে ধান কিনে দিতে হবে তাকে। ধানের শীষের গোড়ার দিকে কালো দাগ হয়, দুইদিনের মধ্যে সমস্ত শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যায়। ঔষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ধানের যে অবস্থা তাতে ধান কাটা আর না কাটা একই সমান। অধিকাংশ কৃষকের দাবি ক্ষেতে ওষুধ স্প্রে করেও শীষ মরা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। বাড়িয়াদী গ্রামের দুলাল জানায়, কিস্তিতে টাকা তুলে ৩ বিঘা জমি রোপণ করি, তাও নষ্ট হয়ে গেছে। জাঙ্গালীয়া গ্রামের কবির আকন্দ, রতন আকন্দ, হবি আকন্দ, বলেন- ঋণ করে কয়েক বিঘা জমিতে ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ রোপণ করি, নেক ব্লাষ্টারে সবই ধ্বংস করে দিয়েছে। বড় একটি অংশ আসে বোরো ধান থেকে। বর আশা নিয়ে এবারও ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ করেছি। তাও নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের এ অঞ্চলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। এ বিষেয়ে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম বলেন- নেকব্লাষ্টা রোগ নিয়ন্ত্রনে আমাদের উপসহকারী কৃষির্কমর্কতারা মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কৃষকদের “ট্রুপার, নাটিবোও ও সেলটিমা“ নামক ঔষধ ব্যবহারের পরামর্শও দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন-ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ অনেক পুরনো ধান। অনেক আগে থেকেই কৃষকদের নিরোৎসাহি করে যাচ্ছি তা রোপন না করার জন্য। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া বয়ে যাচ্ছে দিনের বেলা প্রচুর তাপ আর রাতে শীত। এইরূপ আবহাওয়া নেক ব্লাষ্ট রোগ সংক্রামণে খুবই উপযুগী। যার ফলে এটা রোগের প্রকোপ বাড়ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com