সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কোরবানী ঈদে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই এপ্রিলের ২৬ দিনে ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স সত্যি না কি গুজব: ফের বিয়ে করছেন শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নজিরবিহীন বিক্ষোভ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে: ফখরুল গরমে খামারে মরছে মুরগি, কমছে ডিম রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পার্টি কার চাপে নির্বাচনে এসেছে: ওবায়দুল কাদের বিএনপি গরিবের পাশে দাঁড়ায় আর আ’লীগ সরকারি ত্রাণ চুরি করে : ইশরাক কোনো জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে- শিক্ষামন্ত্রী

গরমে ‘ফুড পয়েজনিং’ বাড়ে কেন? সুস্থ থাকতে করণীয়

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩

গরমে অপুষ্টিকর কিংবা ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে ফুড পয়েজনিংয়ের সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়া বাইরের বিভিন্ন খাবার খাওয়ার কারণে কোনো ক্ষতিকর জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া পেটে প্রবেশ করলে এই সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ই-কোলি, সালমোনেলার ও নোরোভাইরাসের মতো ব্যাকটেরিয়ার কারণে ঘটে ফুড পয়েজনিং। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ই-কোলির মতো ব্যাকটেরিয়া সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফলে বাইরে দীর্ঘক্ষণ রাখা খাবার খাওয়ার কারণে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
ফুড পয়জনিং এর প্রধান লক্ষণ কী কী? খাদ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণগুলো ব্যাক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে বেশিরভাগ লোকেরা এক্ষেত্রে বেশ অসুস্থতা বা বমি বমি ভাব অনুভব করেন। এমনকি বমি করেন।

এর সঙ্গে ডায়রিয়া, পেট ফাঁপার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি খুব জ্বর, পেশীতে ব্যথা বা ঠান্ডা লাগার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। দূষিত খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যে খাদ্য বিষক্রিয়ার লক্ষণগুওলো শরীরে দেখা দিতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, উপসর্গ দেখা দিতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
ফুড পয়জনিং এর সমস্যায় কখন ডাক্তার দেখাবেন? খাদ্য বিষক্রিয়ার চিকিৎসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়িতে করা যায়। সাধারণত লক্ষণগুলো বাড়তে পারে, তবে এক সপ্তাহ বা তার পরে সেরে যায়। তবে এ সময় ডিহাইড্রেশন রোধ করতে বিশ্রাম ও প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে।
খাদ্য বিষক্রিয়া প্রতিরোধে করণীয়
খাবার ভালোভাবে রান্না করুন: মাছ-মাংস রান্না করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, সেগুলো যেন কাঁচা না থাকে। কম সেদ্ধ বা কাঁচা মাংসে ক্ষতিকর জীবাণু থাকতে পারে যেমন- ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর, সালমোনেলা, ই-কোলাই বা ইয়ারসিনিয়া। তাই ভালোভাবে মাছ-মাংস সেদ্ধ করে খেতে হবে।
খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন: মাংস ও উচ্ছিষ্ট খাবার সংরক্ষণের সময় সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন। এক্ষেত্রে নিশ্চিত করুন, রান্নার ৯০ মিনিটের মধ্যে মাংস, আলু বা পাস্তার পদ (যেগুলো দ্রুত খারাপ হয়ে যায়) ফ্রিজে রাখার। এক খাবার ফ্রিজে দু’দিনের বেশি রেখে খাবেন না। খাবার পর্যাপ্ত ঠান্ডা রাখতে ফ্রিজ সবসময় ৫সি (৪১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার নিচে সেট করা আছে কি না তা পরীক্ষা করুন। ফ্রিজ যাতে বেশি ভরে না যায় তা নিশ্চিত করুন। ফ্রিজ খুব বেশি ভরা থাকলে বাতাস সঠিকভাবে স ালন করতে পারে না ও খাবার সঠিকভাবে ঠান্ডা হতে পারে না।
সবজির ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করা: ফল ও শাকসবজি খাওয়ার আগে ধুয়ে নিন। সালাদজাতীয় শাক-সবজি বা ফলমূল প্রবাহিত পানির নীচে রাখুন। এমনকি যদি তাদের শক্ত, বাইরের ছাল থাকে যা আপনি খাওয়ার পরিকল্পনা করেন না। আপনি একটি উদ্ভিজ্জ ব্রাশ দিয়ে শক্ত চামড়ার ফল ও শাকসবজি পরিষ্কার করতে পারেন।
কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখুন: কাঁচা মাংস, সামুদ্রিক খাবার, ডিম ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকা জীবাণু রান্নাঘরের অন্যান্য খাবারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য এগুলো আলাদা রাখুন। এগুলো ধরার পরপরই হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন সাবান পানি দিয়ে।
হাত ধোওয়ার অভ্যাস গড়ুন: খাবারের আগে ও পরে ভালোভাবে হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন। বাইরে থাকাকালীন অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। স্যানিটাইজাররে অন্তত ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকতে হবে। যদি আপনার পেট খারাপ, ডায়রিয়া বা বমি হয় ও হাতে কোনো ঘা বা ক্ষত থাকে তাহলে খাবার পরিচালনা এড়িয়ে চলুন। সূত্র: লিভ হেলদিলি




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com