আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে পৌরসভায় প্রবেশ করে মহকালি ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার স্বপন কাজীর নেতৃত্বে ক্রয়কৃত বাড়িতে হামলা চালিয়ে জবর দখল করার চেষ্টা করছে ছাইদুল কাজীর ভাড়াটিয়া দখলবাজ। ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৫ ধারার নোটিশ জারি করেছে এ.এস.আই মিজানুর রহমান। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষ নিজ নিজ সহ অবস্থায় থাকিয়া বিরোধকৃত ভূমিতে আইন-শৃংখলা বজায় রাখতে বলা হলেও ছাইদুল কাজির ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ফৌ: কা: বি: ১৪৫ ধারা লংঘন করে হামলা চালিয়ে লুটপাট চালায়। প্রবাসী আওলাদ কাজী ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বাগড়া বসাতে চাচ্ছেন ছোট ভাই ছাইদুল কাজী। ছাইদুল কাজী আলী আজম ঢালী নিকট হতে ৮শতাংশ নিচু জমি ক্রয় করে ভোগদখলে রয়েছেন। বড় ভাইয়ের জায়গা জবর দখল করার লক্ষ্যে বুধবার রাতে বাড়িতে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছে আওলাদ কাজীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম। রেজিয়া বেগম জানান, স্বপন কাজী মেম্বার, জয়, মহিউদ্দিন, মাহিন ও রিপনসহ ১০/১২জনের একটি গ্রুপ বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) রাতে বাড়িতে এসে লুটপাট চালিয়ে হুমকি প্রদান করে। স্বপন মেম্বার রেজিয়া বেগমের কাছে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছে। চাঁদা না দিলে বিভিন্ন নির্যাতনের মধ্যেই রাখার হুমকি দেন স্বপন মেম্বার। স্বপন মেম্বার রেজিয়া বেগমকে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মাথার খুলিও থাকবে না। রেজিয়া বেগম আরো জানান, আমার ক্রয়কৃত ১৫ শতাংশ বাড়িতে ২৫বছর যাবৎ বসবাস করে আসছি। আমার দেবর ছাইদুল কাজী অনেক পরে জমি ক্রয় করেছে। সেই জায়গাও তার দখলে আছে। রোববার রাতেও হামলা করে ভাংচুর চালায় এই গ্রুপটি। এ বিষয়ে এ.এস.আই মিজানুর রহমান জানান, জমি নিয়ে ফৌ: কা: বি: ১৪৫ ধারার নোটিশ জারি করা আছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে আসছি বর্তমানে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ বিষয়ে মহাকালি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার স্বপন কাজী বলেন আমার বিরুদ্ধে ৫০০০০০ (পাচ ঁলক্ষ) টাকা চাদাঁ দাবী করার অভিযোগ মিথ্যা, বাদী বিবাদী উভয়ে আমার আত্বীয়। স্বপন কাজী এক প্রকার রেগে গিয়ে চাদাঁবাজীর সাক্ষি আছে কি না? তা জানতে একাদিকবার চেষ্টা করেন সাংবাদিকের কাছে। উভয়ের বিষয় আমি সমঝোতায় থাকার একমত, গত কয়েকদিন পূর্বেও এই বিষয় আমাকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় সালিশে ডেকেছিলো কোন সমাধান হয় নাই বলে স্বপন মেম্বার জানান। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওয়াল ভাঙ্গা, ইট, টিন ও খাম চুরির অভিযোগ একাদিক ব্যক্তির বক্তব্য তাও স্বপ মেম্বার মিথ্যা বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানানো হয় ইউনিয়নের সদস্য হয়ে পৌরসভার এলাকায় মেম্বারের চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার জানা নেই বলে সাংবাদিকদের জানায় শহিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান।