দুটি দলের কাছে লড়াইটা দু’রকম ছিল। ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের লক্ষ্য ছিল চলতি আইপিএল-এর ২২ গজের এই যুদ্ধ জিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখা। অন্যদিকে সঞ্জু স্যামসনের দলকে হারালে দ্বিতীয়স্থান ধরে রাখার পাশাপাশি লখনউ সুপার জায়ান্ট জয়ের সরণীতে ফিরতে পারত। তবে শুরুটা ভালো করেও পারল না রাজস্থান। বরং বুধবারের আইপিএল ম্যাচে কম রানের পুঁজি হাতে নিয়েও দুরন্ত লড়াই করল লখনউ সুপার জায়ান্ট। ফলে দাপুটে কামব্যাক করে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ ১০ রানে জিতে নিলো কে এল রাহুলের দল। ব্যাট হাতে ১৬ বলে ২১ রানের পর বলেও নজর কাড়লেন মার্কাস স্টোইনিস। তিনি নিলেন ২৮ রানে ২ উইকেট। তবে আবেশ খানের অবদানও কম নয়। ২৫ রানে ৩ উইকেট নিলেন এই ফার্স্ট বোলার। যদিও ১৫৫ রান চেজ করতে নেমে শুরু থেকেই কে এল রাহুলের দলের বোলারদের বুঝে নিয়েছিলেন জস বাটলার ও যশস্বী জয়সওয়াল। দুই ওপেনারের জুটি দেখে মনে হচ্ছিল যে রাজস্থানের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে নিজের দমে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার। আর তাই ঘরের মাঠে রাজস্থানের ‘হল্লাবোল’ বলা হলো না। ৬ উইকেটে ১৪৪ রানেই আটকে গেল রাজস্থান। এই হারের পরেও শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও, সঞ্জু স্যামসনের দলকে বড় শিক্ষা দিয়ে গেল কে এল রাহুলের দল।
লক্ষ্য কম ছিল। তাই মারমুখী মেজাজের সাথে উইকেটের চরিত্র বুঝে ব্যাট করছিলেন বাটলার ও যশস্বী। পাওয়ার প্লে-তে ৪৭ রান উঠলেও, দু’জন বাড়তি ঝুঁকি নিতে রাজি ছিলেন না। ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের অধিনায়ক একটা দিক আগলে রাখলেও, তরুণ যশস্বী ছিলেন মারমুখী মেজাজে। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৩৫ বলে ৪৪ রানে আউট হলেন। তাকে ফেরান মার্কাস স্টোইনিস। ৮৭ রানে রাজস্থান প্রথম উইকেট হারাতেই ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল লখনউ। দলগত ৯৩ রানের মাথায় বাটলারের সাথে ভুল বোঝাবুঝির জেরে রান আউট হয়ে ফিরলেন সঞ্জু। ৯৩ রানে ২ উইকেট চলে যেতেই কিছুটা চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। সূত্র : জি নিউজ