মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ফকিরকান্দিতে আধিপত্য ও আলুর বস্তা পরিবহন নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে জুয়েল ফকির নামে একজন নিহত হয়। পোস্ট মার্টেম রিপোর্টে গুলিতে নিহত হওয়ার বিষয়ে আসলেও মামলার এজহারে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যার এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ,এবং সিআইডি পুলিশ।মামলাটি প্রথমে থানায় থাকলেও খুব অল্প সময়ে সিআইডিতে তদর্ন্তের ভার জন্যপ্রেরন করা হয়। প্রথমপক্ষ বাদী জুয়েল ফকিরের পিতা হাবিজুদ্দিন ফকির মামলা নং ১/২৩০ তাং০৩১/০৩/২২,যার আসামী ২২জনকে দিয়ে এজাহার দিয়েছে। দ্বিতীয় মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম মামলা নং সিআর মামলা ২১৬ নং ২০২২। এই মামলায় রোকেয়া বেগম ১৩জনকে নিদৃষ্ট করে আরো অজ্ঞাত ৫/৬জনকে আসামী করা হয়।রোকেয়ার দেয়া মামলা বর্তমানে পিবিআইএ তদর্ন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ-২০২২) ভোরে নির্মম এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত জুয়েল ফকির চরম অসুস্থ্য ছিল। আসামী পক্ষের দাবী বাদী পক্ষের লোকজনই জুয়েল ফকিরকে হত্যা করে অপর পক্ষকে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে।স্বাক্ষীর বাড়ি থেকে গত বিদেশী একটি ১৩ ই ফেব্রুয়ারী বন্দুকও উদ্ধার করে তদন্তকারী অফিসার সিআইডি পুলিশের এসআই মহিবুল।
এর পরেই মেয়ে স্বাক্ষী সিআইডি পুলিশের চোখ ফাঁকিদিয়ে বিদেশে চলে যায় গত এক মাস পূর্বে। ফলে মামলাটি আরো জটিলতা আকার ধারণ করে। হত্যা মামলার অনুসন্ধানে জানতে পারি , এই হত্যার সাথে জড়িত জুয়েল, কাউছার, রবু বেপারী,জুয়েল ফকির ও আওলাদ । কোন এক মাস্টারের বউ মুখ জৈনিক মহিলাকে মুখ চেপে ধরে কথা বলতে নিষেধ করে ঘটনার রাতে মুখ বন্ধ রাখার তাগিদ দিয়ে থাকে। গুলি করে হত্যা করে। নিজেদের লোকজন মিলেই জুয়েল ফকিরকে হত্যা করা হয়েছে। এমন এক তথ্য আমাদের কাছে আসে লোকমারফত।সুত্র ধরে অনুসন্ধান চলেছে। দেলোয়ার হোসেন প্রধান আসামী হলেও ঘটনার সময় ঘরে ঘুমন্ত ছিলো। অপর পক্ষ জুয়েল ফকিরকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার করে এলাকায় ত্রস সৃষ্টি করে বলেও জানা যায় , যাহা এলাকাবাসী অনেকেই এখন জানেন । যারা হত্যার সাথে জড়িত তাদেন মোবাইল টেক করলেই সব জানা যাবে বলে এলাকাবাসীর গুনজন। ঘটনার রাতে কে কার সাথে কথা বলছে? এর সুত্র ধরেই মুল হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব বলে এলাকাবাসীর অভিমত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এক নারীর রেকডিং বক্তব্যেও উঠে আসে এই চারজনের নাম। এই চারজন মিলেই জুয়েল ফকিরকে হত্যা করেছেন। পরবর্তীতে আরো তর্থ্য বেরিয়ে আসে যেই বন্দুকের গুলিতে নিহত হয় সেই ধরণের একটি বন্দুকের উদ্ধার হওয়াতে এলাকায় আরো গুনজন চলছে আসল খুনিদের বিষয়।এ বছরের ১৩ ই ফ্রেবুয়ারীতে সিআইডির অফিসারের মাধ্যমে উদ্ধার হয় পিতা পুত্রসহআক্তার ঢালী(৫০) ও তাহার পুত্র ইয়ামিন ঢালী(১৮) যদিও পিতা পুত্র ঐদিন রাতেই ছাড়া পায় কোন এক হাতের ইশারায়।বন্দুক উদ্ধারের বিষয় একাদিক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও চাপা পরে যায় আসামী ধরার ক্ষেত্রে। জুয়েল ফকিরের পিতার দাবী ছিলো, দীর্ঘ দিন ধরে অত্র এলাকায় রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। আসামীরা আমার ছেলেকে হত্যার পর লাশ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের মন্টু গ্রুপের লোকজন। নানাভাবে জুলুম নির্যাতন করলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।তারা জুয়েল হত্যার কঠোর বিচার দাবী করেন তৎসময়।জুয়েল ফুসকা বিক্রেতা।তবে আলুর মৌসুমে আলু পরিবহনের সাথে জড়িত।সে ফকিরকান্দি গ্রামের হাফিজ উদ্দিন ফকিরের পুত্র।এখন হাবিজুদ্দিন মামলা তুলে ফেলতে চায় বলে এলাকাবাসীর কাছে নতুন নাটকের আবিস্কার মনে করে এলাকাবাসী। এ বিষয় হাবিজুদ্দিন ফকিরের সাথে কথা বলতে চাইলে হারুন ফকিরের সাথে কথা বলতে বলেন সাংবাদিকদের। সাংবাদিক যখন ৪জনের নাম উল্লেখ্য করে মোবাইল ফোনে জানালে ঐ কথার উত্তর না দিয়ে মোবাইল ফোন কেটে দেয়। উতিমধ্যে হাবিজদ্দিনের সাথে বেশ কয়েকবার কথা হয়। একেক সময় একেক কথা বলছেন।এমন কি হাবিজুদ্দিন নিজে তার ছেলের হত্যাকারীদের চিনতে পেরেছেন বলেও দাবী করেন সাংবাদিকদের কাছে রাগের মাথায় জবাব দেন। এ বিষয় মুন্সীগঞ্জ জেলার সিআইডি এসপি মুহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় হওয়ার সময় জানা যায় , এটি একটি হত্যা মামলা।এই মামলার বিষয় মন্ত্রী, ডিআইজি দপ্তর হতেও খবরাখবর নিচ্ছেন।আমরা সিআইডি যখনই কোন দায়িত্ব পাই সেটি একটি ঝটিল বলেই আমাদের কাছে দেওয়া হয়।আর সেই মামলাটি সঠিক বস্তু নিষ্ঠ রিপোট করাই আমাদের উত্তম কাজ। আমাদের কারনে যেনো কোন ভালো মানুষ শাস্তি না পায় সেটি লক্ষ রেখেই কাজ করছি।কোন এক কথার প্রসঙ্গে বলা হয় আক্তার ঢালীর মেয়ে ছাদিয়া(২২) এবং আল আমিন ফকিরের স্ত্রী শিউলি(৩৫)মুন্সীগঞ্জ মানিকপুরে অবস্থান করছেন।এই হত্যা মামলার বিষয় জানলেও ছাদিয়া বর্তমানে সাক্ষির দেওয়ার ভয়ে বিদেশ পারি জমায়, এর প্রতি উত্তরে এসপি মনিরুল ইসলাম বলেন এখানেই সমস্যা। কেউ সাক্ষি দিতে চায় না।সাক্ষির অভাবেই মামলার সঠিক বিচারও পায় না বলে মত প্রকাশ করেন। এম কি বাদী কে কোন ফোন দিলেই মামলার বিষয়ে হারুন ফকিরের কাছে ফোন দিতে বলেন, এমন কি সেরাজল ফকিরের পুত্র কাউসার(২৮) আলাবক্স বেপারীর পুত্র রবু বেপারী(৩২) এন্তাজউদ্দিন ফকিরের পুত্র জুয়েল ফকির(২৭) কফিলউদ্দিন মিঝির পুত্র আওলাদ(৩৫) বলার পরে তিনি আরো বলেন আমার সিআইডি সংস্থা একটু সময় নিলেও জুয়েল ফকিরের হত্যা মুল ঘটনা উর্দঘাটন করবো বলে আশা রাখি।এই ধরণের হত্যার বিষয় এলাকার জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সজাগ থাকলে এরুপ ঘটনা রোধপাবে। তবে এই মামলার তদন্তে অনেকেই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতেছি বলে জানান এসপি মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।