শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় সাপ্তাহিকের প্রতিবেদন খণ্ডন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নিউ ইয়র্ক পুলিশের ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সিলেটের আব্দুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাথে মির্জা ফখরুলের বৈঠক বিভাজিত হওয়ায় আমাদের শিক্ষা বিশ্বমানের হয়নি : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন হোয়াইট হাউসের কাছে বিমান দুর্ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছেন ট্রাম্প শ্রমিক ঘাটতি পূরণে ইন্টার্নশিপ কতটা সহায়ক হতে পারে? হরতাল হবে না, মানুষ আওয়ামী লীগের শাস্তির অপেক্ষা করছে: রিজভী আ’লীগের প্রতি আচরণ তেমন হওয়া উচিত, গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে যেমন আমাদের সাথে করা হতো: হাসনাত আব্দুল্লাহ নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে তিন বিষয়কে গুরুত্ব দেবে ইসি নাইম শেখের সেঞ্চুরি, খুলনার রান পাহাড়

চুপ থাকা পরিশ্রমহীন ইবাদত

শামসুল আরেফীন
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩

বাকশক্তি আল্লাহর দেয়া অন্যতম বড় নিয়ামত। এ নিয়ামতের কদর করে কথা বলতে হবে জেনে-বুঝে ও হিসাব করে। মুখ আছে বলেই সব কথা বলা যাবে না। কারণ, মানুষের প্রতিটি কাজকর্ম ও কথা লিপিবদ্ধ করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা তা রেকর্ড করে নেয়। তাতে কোনো গুনাহ থাকুক বা না থাকুক। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার সাথেই রয়েছে।’ (সূরা কাফ, আয়াত-১৮) চুপ থাকার ব্যাপারে হজরত সোলায়মান আ: বলেন, ‘কথা বলাটা যদি রুপা হয়, তাহলে চুপ থাকাটা স্বর্ণ।’ তা ছাড়া চুপ থাকার উপকারিতা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সা:-এর অসংখ্য হাদিস রয়েছে।
আমাদের সমাজের হানাহানি-মারামারি ও হিংসা-বিদ্বেষের কারণগুলো খুঁজলে দেখা যাবে, অনর্থক কথাবার্তা ও কাজে জড়ানোর কারণে এসব হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত ও লাগামহীন কথাবার্তা ঝগড়াঝাটির মূল কারণ। জীবনে যারা অনর্থক কথাবার্তা ও কাজ থেকে বিরত রয়েছে, তারা সবধরনের ফেতনা-ফাসাদ থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ইমাম আহমাদ, দারেমি ও বায়হাকি সূত্রে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে চুপ থাকে সে নাজাত পায়।’ (তিরমিজি)
অন্য হাদিসে হজরত আনাস বিন মালিক রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে নিরাপদ থাকতে চায়, তার চুপ থাকাটা আবশ্যক।’ (মুসনাদে আবি ইয়ালা) অন্য আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসূল সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।’ (বুখারি-৬০১৮, মুসলিম-১৮২)
তা ছাড়া চুপ থাকাটা নফল ইবাদত। নফল ইবাদতের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। অহেতুক কথামালা ও অনর্থক কাজের চেয়ে চুপ থাকাটা অধিক উত্তম ও উপকারী। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান এনেছে, সে যেন উত্তম কথা বলে না হয় চুপ থাকে।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
একবার একজন সাহাবি রাসূলুল্লাহ সা:-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার ব্যাপারে যে বিষয়ে আশঙ্কা করেন এর মধ্যে বেশি আশঙ্কা করেন কোনটি? রাসূলুল্লাহ সা: জিহ্বায় ধরে বললেন, ‘জবানের হিফাজত’। (তিরমিজি)
দুনিয়া ও আখিরাতের প্রভূত কল্যাণের কথা ভেবে ইসলাম মানুষকে চুপ থাকার প্রতি উৎসাহিত করেছে। তা ছাড়া সব মানুষ অহেতুক ও অনর্থক কথাবার্তা শুনতে পছন্দ করে না। এসবের মধ্যে মিথ্যাচার, গিবত, সন্দেহ ও অযাচিত পরনিন্দা থাকে। এর সবই কবিরা গুনাহ। ইসলামী স্কলাররা বলেছেন, ‘অহেতুক ও অনর্থক কথাবার্তার মাধ্যমে মানুষ শুধু নিজের ক্ষতি সাধন করে না; বরং অন্যের ক্ষতিও করে, অন্যকেও কষ্ট দেয়। এগুলো পাপের কারণ।’ এ ব্যাপারে মু’মিন-মুসলমানদের সচেতন থাকা উচিত। লেখক : শিক্ষক, ছড়াকার, কলামিস্ট




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com