সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর।সুত্রে জানাগেছে, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষদেরকে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ এর চাল বিতরণের জন্য সিল মহরকৃত কার্ড প্রদান করেও চাল না দিয়ে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর চাল আত্মসাৎ করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা জানান,স্থানীয় কলেজ অধ্যক্ষ (সাবেক) রফিকুল ইসলাম নান্নু রায়গঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাঙ্গাশী ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের পূর্ববর্তী সময়ে এলাকার কতিপয় ব্যক্তির নিকট থেকে চাকুরী দেয়া, প্রকল্প কর্মসূচীর কাজ বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতিসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে(সাবেক)এই কলেজ অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম নান্নু চেয়ারম্যান বিভিন্ন জনে নিকট থেকে টাকা গ্রহন করেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই রফিকুল ইসলাম নান্নু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ৪০ দিনের কর্মসূচী প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়ম , অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ, ভিজিডি, কার্ড বিভিন্ন জনের কাছে কালোবাজারে বিক্রি করেছে বলে জানান। স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান,পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষদের চাল দেয়ার কথা বলে সিল মহরকৃত কার্ড প্রদান করে। কিন্তু তাদের কোনরূপ চাল নাদিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানান। পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার ৮নং পাঙ্গাশী ইউপির ভিজিএফ এর চাল বঞ্চিত কার্ডধারি নওদা শালুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় মুরুব্বি জহর আলী শেখ(৭৭) পিতা মৃত জগরদি শেখ, মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের শেখ(৬২), আব্দুর রশিদ(৬১), মৃত আব্দুর রহিম বক্স শেখের ছেলে আলতাফ হোসেন(৭০), মৃত এহসান আলীর ছেলে আবুল হোসেন(৭০) সহ এলাকাবাসীরা জানান, পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে আমাগোরে মতো স্থানীয় দরিদ্র অসহায় মানুষেরা নিদারুণ কস্টেই এবার ঈদ অতিবাহিত করেছি। এবারের ঈদে আমগোরে চেয়ারম্যান চাইল দেয়ার কথা বলে তালিকা করে সিল দেয়া কার্ড দিছে। হেই কার্ড নিয়া (বরাদ্দকৃত) চাল আইনব্যার গেছি। কিন্ত আমগোরে একফোঁটা চাইলও দেয়নাই। এছাড়াও কার্ডের (বরাদ্দকৃত) চাইল না দেওয়ার কতা চেয়ারম্যানেক কয়াকবার কইচি। হে তহুন আমগোরে কতায় কোন উত্তর না দিয়া তার পেটোয়া বাহিনীর লোকেদের সামলাতেই মহাব্যস্ত থাকে বলে ভুক্তভোগী অসহায় মানুষেরা জানান। স্থানীয় ভুক্তভোগী জনসাধারণে অভিযোগের পর, পবিত্র ঈদ উল ফিতরে দরিদ্র অসহায় মানুষের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।