ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে পায়ে হেঁটে ১২ মাসে মক্কায় পৌঁছেছেন শিহাব ছোটু। তিনি কেরালার মালাপ্পুরম কোট্টক্কালের নিকটবর্তী আথাভানাদ শহর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর পাকিস্তান, ইরান, ইরাক ও কুয়েত হয়ে মক্কায় পৌঁছেন। শিহাব এ সফরে মোট ১২ মাস পাঁচ দিন ব্যয় করেন। তিনি ২ জুন ২০২২ যাত্রা শুরু করেন। এরপর ৭ জুন ২০২৩ মক্কায় পৌঁছেন। এ সফরে তিনি আট হাজার ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দেন। এ সময় প্রতিদিন তিনি ২৫ কিলোমিটার করে পাড়ি দেন। অবশ্য শেষ দিকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্তও হেঁটেছেন।
শিহাব একটি সুপার মার্কেট পরিচালনা করেন। ছোটবেলা থেকেই পায়ে হেঁটে হজ করা হাজিদের গল্প শুনে বড় হয়েছেন। সেজন্য তার ইচ্ছা ছিল পায়ে হেঁটে হজ করার। এরপর উপযুক্ত সময়ে তিনি নিজ ইচ্ছা পূরণে মনোযোগ দেন।
তিনি প্রথম মদিনায় রাসূল সা:-এর রওজায় হাজিরি দেন। সেখানে ২১ দিন ছিলেন। তিনি কেরালা থেকে তার মা জয়নাবা আসার পর হজ করবেন। তিনি এখন মক্কায় অবস্থান করছেন। মদিনা থেকে মক্কার দূরত্ব ৪৪০ কিলোমিটার। এ দূরত্ব তিনি নয় দিনে অতিক্রম করেছেন।
সৌদি আরবের টিভি চ্যানেল আল-এখবারিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে শিহাব বলেন, তার যাত্রা সহজ ছিল না। সেপ্টেম্বরে যখন তিনি পাঞ্জাবের ওয়াঘা সীমান্তে পৌঁছান, তখন তার ভিসা না থাকায় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ আটকে দেয়। এরপর তিনি ট্রানজিট ভিসার জন্য আবেদন করেন। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে বেশ কয়েক মাস সময় লেগে যায়। তিনি বলেন, এই সময় তিনি আফিয়া কিডস স্কুল, খাসা, অমৃতসর, পাঞ্জাব প্রভৃতি অঞ্চলে অবস্থান করছিলেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শিহাব ট্রানজিট ভিসা পেতে সক্ষম হন। এরপর তিনি পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। সেখানে একটি ছোট বিরতির পর ফের সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। চার মাস পর হজের গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হন। তিনি যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন, তার মধ্যে ইরানের ঠা-া আবহাওয়া ছাড়াও কিছু শিকারী প্রাণী ছিল। তিনি তার এ সফরের মাধ্যমে বার্তা দিতে চান, ‘যে কেউ ভালো উদ্দেশ রাখে, সে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।’ সূত্র : সিয়াসত ডেইলি