চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত সীতাকুণ্ড থানা। আবার চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থান থাকায় দেশ-বিদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রয়েছে বাড়তি আকর্ষণ। পৌরসদরস্থ ডি.টি রোডের পূর্ব পার্শ্বে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরেই রয়েছে উপজেলার ভিন্ন ইতিহাস ও ঐতিহ্য। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মাধুর্যে অপরুপ চন্দ্রনাথ পাহাড় বরাবরই সনাতন ধর্মের পূণ্যার্থী ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে প্রতিনিয়ত। প্রতিবছর শিবচতুদর্শী মেলায় দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ সনাতন ধর্মের পূণ্যার্থীর আগমণ ছাড়াও অসংখ্য পর্যটকের আগমণে মুখরিত চন্দ্রনাথ পাহাড়। মনোমুগ্ধকর, নয়নাভিরাম, সৌন্দর্য আর মাধুর্যে চন্দ্রনাথ পাহাড় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আলিঙ্গনে কাছে টানছে, সীতাকুণ্ডকে করেছে মর্যাদার আসনে অলংকৃত। কলেজ রোডের ব্যবসায়ী পূর্ব সৈয়দপুরের বাসিন্দা রাহুল ভট্টাচার্য জানান, মন্দির সড়ক নামে ভিন্ন পরিচয়ে খ্যাত কলেজ রোডটি পর্যটক, পূণ্যার্থী কিংবা ভ্রমণপ্রেমীদের আগমণে মূখরিত প্রতিটি মুহূর্ত। উপজেলার ফরাদপুরের বাসিন্দা ফরাদপুর সার্বজনীন কালী মন্দির কমিটির সভাপতি ও বড় দারোগার হাট এর ব্যবসায়ী উজ্জ্বল পাল, ব্যবসায়ী সবুজ পাল ও নিমাই দে জানান, পাহাড় আর সমুদ্র বরাবরই আকৃষ্ট করে ভ্রমণপ্রেমীদের একথা সত্য যে পাহাড়ে প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্য আর উচ্ছল ঝর্ণার শীতল স্পর্শ পেতে হলে সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় একটি চমৎকার স্পট। চন্দ্রনাথ পাহাড়ে শতফুট উপর থেকে অভিরাম গড়িয়ে পড়া দৃষ্টিনন্দন ঝর্ণাটির সৌন্দর্য বরাবরই আলাদা। সীতাকুণ্ড ফুটবল টিমের প্রশিক্ষক ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোঃ নূরুচ্ছাফা জানান, ভোরের আলো দৃশ্যমান হলেই পাখ-পাখালির কিচির-মিচির শব্দে অভয়ারণ্যে পরিনত হওয়া চন্দ্রনাথ পাহাড়ে পর্যটক কিংবা পূণ্যার্থী ছাড়াও প্রতিদিন এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আগমণ চোখে পড়ার মতো। অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা মোঃ মসিউদ্দৌলা, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহাদাত হোসেন, বড় দারোগার হাটের ব্যবসায়ি জাফর সওদাগর, পৌরসদরস্থ আল আমিন রেস্তোঁরার স্বত্বাধিকারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ডাঃ কামাল উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, লিমা ফ্যাশনের আলা উদ্দিন এর পাহাড়ে উঠার অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। শারীরিক ফিটনেস কিংবা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য ছাড়াও সকালের ব্যায়াম ও ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা বলে দাবী করেন ভ্রমণপ্রেমী ব্যবসায়ীরা।