কুমিল্লার দাউদকান্দিতে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জামাল হোসেন হত্যার প্রতিবাদে ফাঁসি ও বিচারের দাবীতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গৌরীপুর-হোমনা সড়কের জিয়ারকান্দির গোমতী ব্রিজে অবস্থান করে তারা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় উভয় দিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক মো. নূরনবী, সাতানী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুল হক সরকার, জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজম সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন সরকার, জামাল হোসেনের বড় ভাই কামাল হোসেন, ছোট বোন জিয়ারকান্দি ইউপি’র মহিলা সদস্য রিপা আক্তার, জামালের স্ত্রী পপি আক্তার প্রমূখ। এছাড়াও এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, আবুল হাসেম, জহিরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, ওমর ফারুক, কবির হোসেন সওদাগর, মজলু মিয়া, শাহ আলম, কবির হোসেন, মুকবুল হোসেন সরকার, আক্তার হোসেন প্রমূখ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল এশার নামাজ পড়ার জন্য দাউদকান্দির গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর বাসার নিচে বোরকা পরা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন। নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার নোয়াগাঁও জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে এবং তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তার বাড়ি তিতাস উপজেলার নোয়াগাঁও হলেও তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন। উক্ত ঘটনায় ২ মে রাতে ৯জনের নাম উল্লেখ্য পূর্বক ৮জন অজ্ঞাতনামাসহ ১৭জনকে আসামী করে নিহতে স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বর্তমানে ৮জন আসামী কারাগারে আছে। এদের মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।