জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৮নং আওলাই ইউনিয়নের পাইকর দারিয়া মৌজার দরগা বাজার হতে ডালিম গাড়ী ভায়া বিহিগ্রাম সড়কে প্রায় ৮৮টি বড় ইউক্যালিক্টাস গাছ পাশর্^বর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর কামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও পাঁচবিবি আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান কেটে বিক্রয় করার সংবাদ পাওয়া গেছে। রাস্তাটি পাঁচবিবি উপজেলার পাইকর দারিয়া মৌজার ২ নং খতিয়ানে ১৯৯ দাগের অর্ন্তভুক্ত। এবিষয় জানতে এলাকায় গেলে পাইকর দারিয়া গ্রামের সাহিবুল্লার পুত্র শাহিনুর ইসলাম ও একই গ্রামের মৃত আশারত উল্লাহ মন্ডলের পুত্র আমজাদ হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করে জানান, এ রাস্তাটি পাঁচবিবি উপজেলার অর্ন্তভুক্ত। রাস্তায় অনেকদিনের পুরাতন ৮৮টি গাছ ছিল। ইতিপূর্বে পার্শবর্তী কামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাদের গাছের সঙ্গে এই গাছগুলি কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করলে স্থানীয় জনগন ও তৎকালীন আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাক মন্ডল বাধা দেওয়ায় তখন গাছগুলো কাটতে পারেনি। গত ১৪-১৫ দিন পূর্বে কামদিয়া ইউনিয়নের বাবলু চেয়ারম্যানের লোকজন গাছ কাটা শুরু করে। এসময় আমরা গাছ কাটার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, উভয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সমঝতা করে গাছগুলি বিক্রয় করেছেন। গাছ কাটা বিষয়ে স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ ও সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্যা লাভলী বেগম জানান, গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে বিষয়টি আমরা আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী তাওহীদকে জানিয়েছি, কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে জানতে পেরেছি দুই চেয়ারম্যান মিলে সমঝতা করে গাছগুলো বিক্রি করেছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তাওহীদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন কামদিয়া চেয়ারম্যান বাবলু চৌধুরী গাছ কেটে নিয়ে গেছে, তখন আমি ঢাকায় ছিলাম। কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানাগেছে, ১নং কামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাশাহেদ হোসেন চৌধুরী বাবলু পবিত্র হজ্বব্রত পালনের জন্য চলে গেছেন, তবে চেয়ারম্যানের একান্ত লোক কামদিয় গ্রামের লিটন (গেদা) জানান, দুই চেয়ারম্যান মিলে সমঝতা করার পর গাছগুলি কাটা হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানার সঙ্গে গাছ কাটার বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমি এই মাত্র গাছ কাটার বিষয়ে জানলাম, ঘটনার বিষয়ে খোজখবর নিয়ে ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিব। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মুন্নার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গাছ কাটা না হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।