দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্ধ থাকা উল্লেখযোগ্য পাঁচটি কাজ চালুর ব্যাপারে অনুমোদন পাওয়া গেছে। ভারতে অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলনের এটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। পাঁচটি কাজ হলো- রামগড় স্কুল বিল্ডিংয়ের অসম্পন্ন কাজ, তিন বিঘা করিডোর এলাকায় ঝালংগী পকেট ও ভিতরবাড়ি পকেট এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন, শেরপুরের ভোগাই নদীর তীর সংরক্ষণ, জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদী ও রহিমপুর খালের সংযোগস্থল পুনঃখনন এবং নেত্রকোনার ভবানীপুর সীমান্তে ১ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে বিজিবি সদরদপ্তরে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন বিষয়ে ব্রিফিং করা হয়। এতে বিজিবি মহাপরিচালক এসব তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, উভয় বাহিনীর মধ্যে পূর্বানুমতি ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ শুরু না করার ব্যাপারে পারস্পরিক সম্মতি হয়েছে। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা বেশ কয়েকটি উন্নয়নকাজ জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে সম্মতি পাওয়া গেছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য হচ্ছে, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্ধ থাকা উল্লেখযোগ্য পাঁচটি কাজ চালু করার ব্যাপারে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এসব উন্নয়নমূলক কাজগুলো সীমান্তবর্তী জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ; যেমন- মাদকপাচার, অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট প্রভৃতি চোরাচালান রোধে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে উভয়পক্ষ গুরুত্বারোপ করেছে। উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে উভয়পক্ষ তথ্য আদান-প্রদান করেছে। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে অপরাধীদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে শেয়ার করতেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়।
আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিকদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধে সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যাপারে দুই পক্ষ গুরুত্বারোপ করেছে।