ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার আবারো একটি পাতানো নির্বাচন করতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দ। স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর খান দীপকের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী ও ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ। প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজভী আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ায় ফেরার পথে ব্যাপক যানজটের কারণে মানববন্ধনে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বক্তব্য দেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার চায় অপেক্ষাকৃত বিএনপির তরুণ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী রাখতে। কারণ সরকার চায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে। অথচ অনেক নেতা জামিনে আছেন। তাদেরকে নো এরেস্ট নো হ্যারেজ করতে আদালতের নির্দেশ আছে। কিন্তু সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, বিদেশীদের চাপে সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মাথানত করবে না‘ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আসলে বিদেশীদের সোচ্চারকণ্ঠকেও তারা চাপ মনে করেন না। আরো একটি পাতানো নির্বাচন করতেই গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের বন্দী রেখেছে। যাতে ক্ষমতায় থেকে অবাধে দুর্নীতি করতে পারে, জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করা যায়, তাদের পরিবার যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পেয়ে নেতাকর্মীদের আটক রেখেছে।
কারাবন্দী নেতা রফিকুল আলম মজনু, সাইফুল আলম নীরব, এসএম জাহাঙ্গীর, গোলাম মাওলা শাহিন, আজিজুর রহমান মুসাব্বিরসহ যাদেরকে আটক রাখা হয়েছে তাদের সবার মুক্তি দাবি করেন রিজভী।