আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে শহর ও গ্রামের খামারিরা তাদের গৃহ ও খামারে পালিত পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। অনেক খামারগুলোতে পশু বেচা-কেনা শুরু হয়ে গেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে বরিশালে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও হাতেগোনা যে কয়টি বিশালাকৃতির গরু থাকে সেগুলোতে ক্রেতাদের আলাদা দৃষ্টি। এরইমধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে বরিশালের বাবুগঞ্জের রামপট্টি বাজার এলাকায় এমইপি এগ্রো ফার্মে বেড়ে ওঠা প্রায় ২৯ মণ ওজনের টাইটানিক। এমইপি গ্রুপের পরিচালক ফাহিম আলম চাকলাদার জানান, কুষ্টিয়া জেলার এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে গরুটিকে আমরা সংগ্রহ করি। যখন এটিকে খামারে আনা হয় তখন এর ওজন ৫৫৬ কেজির মতো ছিল এখন ১১শ কেজির (প্রায়) ২৯ মণ) মতো ওজন হয়েছে। এমইপি গ্রুপের পরিচালক বলেন, আমাদের ফার্মের সব থেকে বড় গরু হওয়ায় রাখালদের পরামর্শে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটির নাম টাইটানিক রাখা হয়। গরুটি সাড়ে সাত লাখ টাকায় বিক্রির চিন্তা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর কাছাকাছি দাম বলছেন অনেকে, আশা করি বিক্রি হয়ে যাবে। গরুটি লালন-পালনের দায়িত্বে থাকা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে এখন বিশাল আকৃতির এ গরুটির লালন-পালনে দিনে হাজার টাকার ওপরে খরচ হয়। গরুটিকে খাবারের জন্য প্রতিদিন ধান ভাঙা, গম ভাঙা, ভুট্টাসহ মিক্সড একটি উপাদান দেওয়া হয়। এছাড়া দিনে দুই বার গোসল করানোসহ বিভিন্ন দিকে খেয়াল রাখতে হয়। তিনি বলেন, জাহাজের মতো বিশালাকার দেহের কারণেই গরুটির নাম টাইটানিক রাখি আমরা। প্রতিদিন সকাল ৮টায় ১৩ কেজি খাবার খায় গরুটি এবং তাও ১০ মিনিটে। ইসমাইল নামের আরেকজন বলেন, গত কোরবানির পরপরই গরুটি এই ফার্মে আনা হয়েছে। তারপর থেকেই লালন-পালন করতে করতে একটা মায়া হয়ে গেছে। বিক্রি করে দেওয়ার কথা চিন্তা করলেও এখন খারাপ লাগে। এগ্রো ফার্মের ইনচার্জ রাফিউর রহমান অমি বলেন, গত কোরবানির পরপরই এ গরুটি ফার্মে আনা হয়েছে। আগে গরুটির পেছনে ৮/৯শ টাকা খরচ হলেও এখন প্রায় ১৫শ টাকা খরচ হচ্ছে। তিনি বলেন, টাইটানিককে দেখতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ভিড় করছে ফার্মে। দরদামও হচ্ছে, তবে সঠিক দাম পেলে গরুটি ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কোরবানিতে বিক্রির জন্য এ ফার্মে প্রায় তিন শতাধিক গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান তিনি। প্রাাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বরিশাল বিভাগে এবার কোরবানির পশুর চাহিদা ৪ লাখ ২শ ৪৭টি।