বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত এলাকা চিলাহাটি। এখানে ১৯৩৭ সালে চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করে ব্রিটিশ সরকার। ৪৭ এ দেশভাগের পর বন্ধ হয়ে যায় বন্দরটি। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে বন্দর চালু হলেও ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় আবারো বন্ধ করে দেওয়া হয় এই স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এরপর ২০১১ সালের ১৯ জ্নু নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান স্থলবন্দটি পরিদর্শন করে বন্দরের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুনরায় চালুর বিষয় গুরুত্ব আরোপ করেন। ১৯৬০ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের আগে চিলাহাটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু হয়। সেকালে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে চিলাহাটিতে স্থাপন করা হয়েছিল একটি চেকপোস্ট। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় চেক পোস্টটি চালু রেখে স্থলবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে ২০০২ সালের জুন মাসে অজ্ঞাত কারণে চেকপোস্টটিও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালের আগস্টে চিলাহাটি স্থলবন্দরটি মন্ত্রিসভায় বৈঠকে অনুমোদনের পর গেজেট প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয় চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকতার কাজ। এরমধ্যে আইকনিক ভাবন নির্মাণের কাজ ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং সংযোগ রেললাইন স্থাপনের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিতীয় প্লাটফর্ম ও ফুটওভার ব্রিজ। স্থলবন্দরটি প্রতিষ্ঠিত হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি থাকা অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, মিজোরাম, আসাম মেঘলয় ও ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা বাড়বে। এছাড়া সার্কভুক্ত ভুটান, নেপাল আর চীনের সাথে আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে যোগ হবে নতুন একমাত্র। ঘুচবে বেকারত্ব। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির ফলে দেশ হবে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। এতে পাল্টে যাবে চিলাহাটির চিত্র।