অনেক অপেক্ষার পর এশিয়া কাপের সূচি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। পাকিস্তান ও নেপালের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে এবারের আসরের। ঘরের মাঠ মুলতানে ম্যাচটি খেলবে পাকিস্তান। এদিকে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৩১ আগষ্ট সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামবে টাইগাররা। মাঝে দুদিনের বিরতি পেয়ে পাকিস্তানে খেলবে যাবেন সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল। পাকিস্তানের লাহোরে ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। অর্থাৎ গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ দুই দেশে গিয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। এদিকে এশিয়া কাপে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের জন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে চাটার্ড বিমান দেবে এসিসি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জালাল ইউনুস বলেন, আমাদের তো লাহোরেতে যেতে হবে। শুরুতে শ্রীলংকায় খেলা… প্রথম রাউন্ডে দুইটা ম্যাচ আছে আমাদের, পাকিস্তান- শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে। যেতে হবে, কিছু তো করার নেই। ৩১ তারিখের পর ৩ তারিখ আমাদের আবার ম্যাচ। যাত্রাটা যেন আরামদায়কভাবে হয় সেজন্য এসিসি থেকে চাটার্ড বিমান দেয়া হবে। এটা ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এশিয়া কাপে শুধু বাংলাদেশ নয়, আয়োজক দুই দেশ পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকেসহ বাকি দলগুলোকেও নিয়মিত যাতায়াতের মাঝে থাকতে হবে। আর একটা টুর্নামেন্ট চলাকাকালীন নিয়মিত যাতায়াত ক্রিকেটারদের ওপর প্রভাব ফেলে বলে মনে করছেন জালাল ইউনুস। জালাল ইউনুস বলেন, যাতায়াত করলে তো সব সময় একটা প্রভাব পড়েই। আপনি যদি বিমানে যান তাহলে ২-৩ ঘন্টা আগে যেতে হয়… লাগেজ নিয়ে যেতে হয় এছাড়া মানসিক শক্তিরও বিষয় আছে। শ্রীলঙ্কা থেকে পাকিস্তান তো খুব কাছে না… যেহেতু এসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবাই মেনেছে… আমাদেরও মেনে নিতে হয়েছে। গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে। দুটি দলই সুপার ফোর উঠতে পারলে আরও একবার দেখা যাবে এই তাদের লড়াই। আর যদি ভারত ও পাকিস্তান ফাইনাল খেলে তাহলে কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনবার মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দল।
প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল উঠবে সুপার ফোরে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স আপ হলে বি২ হিসেবেই সুপার ফোরে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তাতে করে সুপার ফোরে তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে তারা। যেখানে প্রথম ম্যাচ হতে পারে ৬ সেপ্টেম্বর লাহোরে পাকিস্তান কিংবা নেপালের বিপক্ষে। কারণ গ্রুপ এ থেকে ভারত সুপার ফোরে উঠলে তারা এ২ হিসেবে খেলবে।
বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচ খেলতে হবে পারে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন আর ‘এ’ গ্রুপের রানার্স আপের সাথে। ৯ ও ১৫ সেপ্টেম্বর হতে যাওয়া দুটি ম্যাচই কলম্বোতে মাঠে গড়াবে। ১৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে পর্দা নামবে এবারের এশিয়া কাপের।