কানাডায় সাকিবময় আরো এক দিন। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে আবারো আলো ছড়ালেন তিনি। আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন, জ্বলে উঠলেন ব্যাটে-বলে। বল হাতে ২৮ রানে ১ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতে খেলেন ২৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। জয় পেয়েছে তার দলও। গত রোববার রাতে মিসিসাউগা প্যানথার্সের মুখোমুখি হয় সাকিবের দল মন্ট্রিয়েল টাইগার্স। প্যানথার্সদের এই ম্যাচে ৭ উইকেট হারায় টাইগার্সরা। এই জয়ে ব্যাটে বলে নেতৃত্ব দেন সাকিব। যদিও সুযোগ ছিল বড় ইনিংস খেলার, তবে তা আর হয়নি। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ফেরেন তিনি।
টস জিতে এদিন আগে ফিল্ডিং বেছে নেয় সাকিবের দল মন্ট্রিয়েল। মিসিসাউগাকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৪০ রানে বেঁধে ফেলে তারা। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারে ১১ রান দিয়ে বসেন সাকিব, তবে পরের ৩ ওভারে ঘুরে দাঁড়ান সাকিব। দ্বিতীয় ওভারে এসে ফেরান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা আজম খানকে। তবে সাকিব তার বড় পরীক্ষা দেন ১৯তম ওভারে ব্যক্তিগত শেষ ওভার করতে এসে। স্নায়ুচাপের এই সময়ে এসে মোটে ৪ রান দেন তিনি। অথচ পরের ওভারেই কিনা আসে ১৮ রান।
ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ওভারেই মাঠে নামেন সাকিব। প্রথম কয়েক বল দেখে-শুনে খেললেও চড়াও হন প্রবিন কুমারের উপর। এক ওভারেই তুলেন দুই চার আর দুই ছক্কায় ২১ রান। এক সময় ব্যাট করছিলেন ২০০+ স্ট্রাইকরেটে। তবে পাওয়ার প্লের পর তা কমে এসে দাঁড়ায় ১৫০-এ। তিনি ফেরেন ৫ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ বলে ৩৬ করে।
তবে ততক্ষণে তার দল জয়ের পথ ধরে ফেলেছে। ৬০ রানের জুটি ভেঙে সাকিব যখন ফেরেন, তখন জয়ের থেকে মাত্র ৬০ রান দূরে মন্ট্রিয়াল। হাতে ৮ উইকেট আর ৭১ বল। অধিনায়ক ক্রিস লিনের অর্ধশতকে ভর করে ২৫ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সাকিবের দল। আগের ম্যাচেও সারে জাগুয়ার্সের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল মন্ট্রিয়েল। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৩ বলে ২৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন সাকিব।