পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী মিশনে লোক পাঠানোর পথ বন্ধ করতে কিছু লোক টাকা দিয়ে তদবির করছে। এদের লজ্জা হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘সারা দুনিয়ায় শান্তিস্থাপনের জন্য আমাদের দেশের পিস-কিপাররা (শান্তিরক্ষী) কাজ করে। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮৬ হাজার পিস-কিপার কাজ করেছে। এর মধ্যে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ আমাদের লোকগুলোকে শান্তিরক্ষী মিশনে না নেয়ার জন্য টাকা দিয়ে তদবির করছে।’
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় এবং দরিদ্র মানুষের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, ‘তোমরা সরকারকে অপছন্দ করতে পারো। তাই বলে দেশের এতবড় অর্জন ধ্বংস করতে পারো না।’ সবধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যতই ষড়যন্ত্র হোক আমরা জনগণের শক্তি নিয়ে এসব কিছু মোকাবেলা করবো। এ জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে কেউ কেউ দেশকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছেন। এমনটা হলে দেশের কারো জন্য কল্যাণকর হবে না, সবার জন্য ক্ষতি। যারা সরকারকে অপছন্দ করেন তারা দেশ ধ্বংসের তালে মেতে ওঠেছেন, দেশের ভালো কাজও ধ্বংস করা হচ্ছে।’
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরীন আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা মোমেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সদর উপজেলা সভাপতি মো: নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হিরণ মিয়া, সিলেট জেলা মহিলা সংস্থার সভাপতি হেলেন আক্তার প্রমুখ।