মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চতুর্থ ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫শত উপকার ভোগী পেয়েছে সরকারি পাকা বসতঘরসহ অনান্য সুবিধা। চতুর্থ ধাপের ৫শত উপকার ভোগীদের মধ্যে ১শত দশজন বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারী, অর্ধ শতাধিক প্রতিবন্ধী সহ প্রকৃত উপকার ভোগীরা পেয়েছেন পাকা ঘর।
এছাড়াও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কতৃক উপকার ভোগীদের মাঝে দেয়া হচ্ছে ডিপ টিউবওয়েল। উপকার ভোগী এসব নারীদের স্বাবলম্বী করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে শতাধিক সেলাইমেশিন। বিশেষ করে উপজেলার দুর্গম এলাকায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝেও উপজেলা প্রশাসন কতৃক পৌছে দেয়া হয়েছে পাকা ঘর, ডিপ টিউবওয়েল, সেলাই মেশিন সহ সরকারি বিভিন্ন সহায়তা। এসব সহায়তা উপকার ভোগী পরিবারগুলোর স্বচ্ছল জীবনযাপনে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলার বোয়ালখালী ইউপির যৌথ খামার পাড়া এলাকার উপকার ভোগী বিধবা নারী অজিতা ত্রিপুরা বলেন, আমি গরিব মানুষ, অনেক আগেই স্বামী মারা গেছে। থাকার মতো ঘর ছিলোনা, ইউএনও স্যার আমাকে একটি সরকারি পাকা ঘর দিয়েছে। কবাখালি ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নারী বিন্দে বাঁশি চাকমা বলেন, আমার ভাঙা ঘরে বৃষ্টির পানি পড়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে ঘর পেয়ে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। পশ্চিম কাঁঠালতলী এলাকার বিধবা নারী নমিতা শীল বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টের সংসার।স্বল্প পরিমাণে জায়গা থাকলেও ঘর তোলার সামর্থ ছিলোনা।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছি আমি। ঘরের কাজ শেষ হয়েছে। রঙ হলেই ঘরে উঠবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, দীঘিনালায় চতুর্থ ধাপে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ ৫শত উপকার ভোগীদের মাঝে পাকা ঘর দেয়া হয়েছে। সর্বচ্চ তদারকির মাধ্যমে প্রকৃত উপকার ভোগীদেকে সহযোগিতার আওতায় আনার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে থাকা উপজেলার দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকাগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে পাকা ঘর। যাদের মধ্যে উপকৃত হয়েছেন শতাধিক বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারী, প্রতিবন্ধী সহ প্রকৃত উপকার ভোগীরা। বিশুদ্ধ পানির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কতৃক দেয়া হচ্ছে ডিপ টিউবওয়েল। অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে উপজেলা প্রশাসন কতৃক বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে সেলাইমেশিন।