সব জীবের জীবনধারণের জন্য পানি অপরিহার্য। পানি শুধু পান করার জন্য নয়, তা বহুবিধ কাজের প্রধান উপকরণ। সারাবিশ্বে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পৃথিবীতে প্রাপ্ত মিষ্টি পানির প্রায় শতকরা ৭০ ভাগই খাদ্য উৎপাদনে কৃষকরা ব্যবহার করে। শিল্প-কারখানায় ব্যবহার করা হয় প্রায় ২০ ভাগ এবং শতকরা ১০ ভাগ মিষ্টি পানি ব্যবহার করা হয় ঘরের কাজে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ পানি ব্যবহার করা হচ্ছে, অন্যদিকে অপরিশোধিত ও পয়ঃবর্জ্য ফেলে পানিদূষণ করা হচ্ছে। বিশ্বে এখনও ৭৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না। ভূপৃষ্ঠের ৭০.৯ শতাংশ অংশজুড়ে পানির অবস্থান। প্রাপ্ত পানির ৯৬.৫ শতাংশ পাওয়া যায় মহাসাগরে। ১.৭ শতাংশ পাওয়া যায় ভূগর্ভে। ১.৭ শতাংশ পাওয়া যায় হিমশৈল ও তুষার হিসাবে। সামান্য কিছু পাওয়া যায় অন্যান্য বড় জলাশয়ে। আর ০.০০১ শতাংশ পাওয়া যায় বায়ুম-লে অবস্থিত মেঘ, জলীয়বাষ্প, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত ইত্যাদিরূপে । পৃথিবীর পানির মাত্র ২.৭ শতাংশ হলো বিশুদ্ধ পানি এবং বাকি ৯৭.৩ শতাংশ হলো ভূগর্ভস্থ পানি ও বরফ। বিশুদ্ধ পানির ০.৩ শতাংশেরও কম অংশ পাওয়া যায় নদীতে, হ্রদে ও বায়ুম-লে।
ভবিষ্যতের পানির চাহিদাগুলো পূরণ করার সক্ষমতার সাথে আপস না করে বর্তমান, পরিবেশগত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক চাহিদাগুলো পূরণ করে পানি ব্যবহার করাই টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা। নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে। খোলা স্থানে মলত্যাগের হার প্রায় শূন্যের কোঠায় এসেছে, যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগেই আমাদের এ অর্জন। আগে মানুষ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করত। এখন অধিকাংশ মানুষ নলকূপ থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করে। এ ক্ষেত্রে ৯৭ শতাংশ সফল হয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাইলে অগ্রাধিকার দিয়ে নদী ও জলাভূমিগুলোকে রক্ষা করতে হবে। নদী রক্ষার জন্য উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। যেসব নদী ও জলাশয় ভরাট হচ্ছে, দখল থেকে মুক্ত করা যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সর্বস্তরের সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে এবং সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে প্রযুক্তিনির্ভর বা জরাবৎ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝুংঃবস (নদীর তথ্য পদ্ধতি) উন্নত করা নেই, যেমন সীমানায় কতগুলো নদী আছে, নদীগুলোর পূর্ব ও বর্তমান অবস্থা। জরাবৎ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝুংঃবস, ডবঃষধহফ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝুংঃবস, ঈরঃুবহ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝুংঃবস উন্নত করা সম্ভব হলে মানুষ, জলাশয়, প্রকৃতিকে একসাথে করা সম্ভব। প্রতি ছয় মাসে বা এক বছরে স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে নদীর তথ্যসংবলিত কোনো অ্যাপ বা কোনো ডেটাবেজ তৈরি করতে হবে, যেখান থেকে নদীর পূর্ব ও বর্তমান অবস্থা জানা যাবে এবং সাধারণ লোকজন অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং সহজেই সমস্যাগুলো শনাক্ত করা যাবে। তাহলে খুব সহজে সরকার নদী ও জলাভূমি রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে পারবে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব হবে।
একই সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
জলাভূমি ও নদী স্বাদুপানির একটি বড়ো উৎস। শহরের প্রতিদিনের ব্যবহৃত পানি, চাষাবাদ ও শিল্পকারখানার উৎপাদনের পানি জলাভূমি ও নদী থেকে নেওয়া হয়। মানুষের বিভিন্ন কমর্কা-ের মাধ্যমে জলাশয় ও নদীর পানি দূষিত করছে। পানিদূষণের মাধ্যমে পানির নিরপিত্তা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। পানিদূষণের মাধ্যমে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ছড়ায়। দূষিত পানিতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ, রাসায়নিক পদার্থ, ভারী ধাতু (আর্সেনিক, লেড, মার্কারি, প্রভৃতি) থাকে। এ কারণে দূষিত পানি ব্যবহারে ক্যান্সারসহ মারাত্মক রোগ সৃষ্টি হতে পারে। দুর্বল গোষ্ঠী, বিশেষ করে গর্ভবতী মা, নবজাতক, পাঁচ বছরের নিচের শিশু বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এতে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা খরচ বেড়ে যায়, তাদের কাজের সময় কমে যায় এবং দারিদ্র্য বাড়তে থাকে। চাষাবাদের সময় অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, শিল্পকারখানার বর্জ্য প্রতিনিয়ত পানির সঙ্গে মিশে মাটি ও পানি দূষিত করছে। এতে মাটির উবর্র তা কমছে, দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে ফসল উৎপাদন ও শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যা অর্থনৈতিক উন্নতিতে প্রভাব ফেলে। লিঙ্গসমতা করতে হলে প্রথমে নারীর মত প্রকাশের অধিকার, স্বাস্থ্য, যৌন ও প্রজননের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কীটনাশক দ্বারা আক্রান্ত দূষিত পানি নারীর শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও হরমোনের সংবেদনশীল টিস্যুর ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। নারীর নিরাপদ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশীদার করা সম্ভব নয়। শিল্প এলাকাগুলোয় অতিরিক্ত কার্বন নির্গত হওয়ার কারণে ফ্যাক্টরিতে কাজ করা লোকজন ও শিল্প-এলাকাগুলোয় বা আশপাশে বসবাসরত লোকজনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি থাকে। অতিরিক্ত কার্বন নির্গত হওয়ার কারণে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে উপকূলীয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, মাঝি, জেলে, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়াও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দূষণ অধঃক্ষেপণ বেড়ে যায়, বৃষ্টির সঙ্গে কীটনাশক ছড়িয়ে পড়ে, অতিরিক্ত ঝড় ও বৃষ্টির মাধ্যমে দূষিত পদার্থ ছড়িয়ে পানিদূষণ বাড়িয়ে দেয়। বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনে পানিদূষণ বিস্তারলাভ করবে। পানিদূষণের কারণে পানিতে বসবাসকারী প্রজাতিগুলোর জীবন হুমকির মুখে পড়ে। প্রবাহের মাধ্যমে দূষণ ছড়িয়ে যাচ্ছে জলাশয় থেকে খালবিল, নদী, সমুদ্রে। সেখানে থাকা প্রাণীগুলোর টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। পানিদূষণ রোধ না করলে পানিতে থাকা প্রজাতি হারিয়ে যাবে। এছাড়া বর্ষার পানিতে দূষিত পানি মিশে চারদিকে ছড়িয়ে ভূমিকেও দূষিত করে। এতে ফসল উৎপাদনের জমি অনুর্বর হয়, মানুষের মাঝে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে যায়, ভূমিতে থাকা গাছপালা, পশুপাখি মারা যায়।
জলাভূমি ও নদীর পানিদূষণ বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জ। পানিদূষণ শুধু মানুষের ¯া^াস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য নয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সামাজিক অগ্রগতির জন্যও হুমকিস্বরূপ। পানিদূষণ রোধ করা না গেলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। পানিদূষণ রোধে প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে দূষণের উৎস ও কারণ। জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার রোধ করতে হবে, বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে, শিল্পকারখানার বর্জ্যরে জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি কারখানায় ট্রিটমন্টে প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হবে, নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা করতে হবে, পরিকল্পিতভাবে নগর পরিকল্পনা, সর্বোপরি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পানিদূষণ রোধ করা সম্ভব। পানিদূষণ মোকাবিলায় জনগণের স্বক্রিয় অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে, সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তখনই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অজর্ন করা সম্ভব হবে। পানিদূষণের দায় ও বাস্তবতার জায়গা থেকে পানিকে দূষণমুক্ত করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কিছু ত্রুটি থেকেই যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম ত্রুটি হচ্ছে শিল্পকারখানার বর্জ্য ও পানিকে ট্রিটমেন্ট না করা, ট্রিটমেন্ট সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বড়ো একটি অংশের অদক্ষতা এবং পানির উপাদান ও উপাদানগুলোর সঠিক মান সম্পর্কে ধারণা না থাকা। মানুষের গৃহস্থালির বর্জ্য, শিল্পকারখানার বর্জ্য, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, সলিড পদার্থ, কীটনাশক, সার পানিতে মিশে জলাশয়, নদী, খালবিল, হাওর-বাওরের পানিকে দূষিত করছে। আবার মানুষ সেই জলাশয় ও নদীর পানিকে বিভিন্নভাবে পরিশোধন করে ব্যবহার করছে। জলাশয় ও নদীর পানিকে বিভিন্ন ধাপে পরিশোধন ও ব্যবহার উপযোগী করা হয়। প্রথমত, পানিতে থাকা বড়ো কণা ও পদার্থ যেমন: প্লাস্টিক বোতল, পলিথিন, কাগজ প্রভৃতি অপসারণ করা হয়। দ্বিতীয়ত, পানিকে কোয়াগুলেশন বা ফ্লোকুলেশন বেসিনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয়, যেখানে বিভিন্ন ধরনের কোয়াগুলেন্টস বা জমাট বাঁধা পদার্থ যেমন: অ্যালুমিনিয়াম সালফেট, কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত পলিডেডমার্ক যুক্ত থাকে। কোয়াগুলেশন বা ফ্লোকুলেশন বেসিনে পানি থেকে বিভিন্ন কণা, ময়লা, রং অপসারন করে পানিকে স্পষ্ট ও বর্ণহীন করে শোধন করা হয়। তৃতীয়ত, পানিকে বর্ণহীন করার পর সেডিমেন্টেশন বেসিনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয়, যেখানে পানিতে থাকা অধঃক্ষেপ অপসারণ করা হয়। চতুর্থত, পানি থেকে অধঃক্ষেপ অপসারণের পর পানিকে ফিল্টারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয়, যেখানে পানিতে থাকা অবশিষ্ট কণা, অধঃক্ষেপ অপসারণ করা হয়। পঞ্চমত, পানিকে ডিসইনফেকটেন্ট বেসিনে প্রবাহিত করা হয় ডিসইনফেকশন বা জীবাণনুাশক করার জন্য। পানিতে জীবাণুনাশক রাসায়নিক পদার্থ ক্লোরিন যুক্ত করা হয় যাতে পানিতে থাকা সম্ভব্য প্যাথোজেন বা অণুজীব যেমন: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া যাদের মধ্যে রয়েছে ইসছেরিছিয়া কোলাই, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার, শিগেলা প্রভৃতি অপসারণ করে পানিকে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। সুস্থ জলজ জীবনের জন্য পানির স্ট্যান্ডার্ড প্যারামিটার কী? পানিকে শুধু ট্রিটমেন্ট বা পরিশোধন করলেই ব্যবহার উপযোগী হয় না, পানির প্যারামিটারগুলোর মাত্রা ঠিক রাখতে হয়। বিশ্বে এবং বাংলাদেশে পানির উপাদানগুলোর একটি স্ট্যান্ডার্ড মান বজায় রেখে পানিকে পরিশোধনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। বর্জ্য পানির ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পানির প্যারামিটারের যে মান নির্দিষ্ট করেছে, বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর অনেক ক্ষেত্রে এর সঙ্গে মিল রেখে পানির কিছু উপাদানের জন্য স্ট্যান্ডার্ড মান নির্ধারণ করেছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদ- যে কৃষি, তার মূল উৎস পানি। মিঠাপানি দিয়েই কৃষক চাষাবাদ করছেন। অপরিকল্পিত ব্যবহার এবং অপব্যবহার পানির গুণগতমান দ্রুত কমিয়ে দিচ্ছে। এতে ভূগর্ভস্থ ও ভূ-উপরিভাগের পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। কৃষিকাজ এবং অন্যান্য কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করার ফলে এর স্তর গড়ে ৭.৫ মিটারের নিচে নেমে গেছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে ঢাকা শহরের দুই কোটি মানুষের পানির প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে রাজধানীর অনেক অঞ্চলে পানির স্তর ৭০ মিটার নিচে নেমে গেছে। আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, আগামী ৪০ বছরে বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানির সঞ্চয় প্রায় ৩৮ শতাংশ হ্রাস পাবে। একদিকে বৃষ্টিপাত কমে যাবে, অপরদিকে বর্ষার সময়ও কমে আসবে। ফলে ভূমিকম্প, ভূমিধস ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। জীব ও পরিবেশ নয়, পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় পানি একটি অমূল্য সম্পদ। এ পানিসম্পদকে সঠিক ও যথাযথ ব্যবহার প্রতিটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। লেখক: সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।