রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লায় ধুন্দল চাষে লাভবান চাষিরা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩

জেলায় ধুন্দল চাষে লাভবান হচ্ছে সবজি চাষিরা। স্থানীয় হাট বাজারে ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা। বাগান থেকে পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। কৃষকের প্রতি কেজি ধুন্দল উৎপাদণে সব খরচ বাদে ব্যয় হচ্ছে সর্বোচ ১০ টাকা।
সরেজমিনে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা গ্রামের কৃষকরা সবজির বাগানে বাঁশের খুঁটি ও সুতার নেট দিয়ে ধুন্দলের মাচা তৈরি করা হয়েছে। এসব মাচায় অসংখ্য ধুন্দল ঝুলছে। সবুজ মাচা জুড়ে ধুন্দলের হলুদ বর্ণের ফুলে ভরে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে ধুন্দলসহ অন্যান্য মৌসুমী সবজির চাষাবাদ করা হয়েছে। স্থানীয়দের প্রতীত জমিতে পুষ্টি বাগান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল শাক-সবজি চাষের জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
পদুয়ার বাজারের সবজি বিক্রেতা মনির হোসেন বাসসকে বলেন, এখন ৭৫-৮০ টাকা দরে ধুন্দলের কেজি বিক্রি করছি। মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক উদ্যোক্তা জানান, মাটিয়ারা গ্রামে ৭০ শতাংশ জমিতে আগাম ধুন্দলের সাথী ফসল হিসেবে শশা চাষ করেছেন। ধুন্দলের মাচার নিচে সারিবদ্ধভাবে প্রায় ৭ হাজার শশার চারা রোপণ করি। এ পন্থায় ধুন্দলের পাশাপাশি শশা চাষেও সফল হয়েছি। পাইকারের কাছে প্রতি কেজি ধুন্দল ও শশা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন জানান তিনি। কামাল হোসেন বলেন, প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতে আগাম ধুন্দলের বাগান করেছেন। দু’দিন পরপর বাগান থেকে ৭০-৮০ কেজি ধুন্দল নামছে। এসব ধুন্দল নিমসার বাজার, লালমাই বাজার, পদুয়ার বাজার বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছেন। কৃষক মো. মনির হোসেন জানান, তিনি মৌসুমী সবজির আবাদ করেছেন। উৎপাদিত ধুন্দল, ঝিঙ্গা, কচু, লাউ, লাল শাক, পুঁই শাক, ডাটা বিক্রি করছেন। বছর জুড়ে সবজি চাষ থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় হচ্ছে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কৃষি কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, সদর দক্ষিণে প্রচুর পরিমানে ধুন্দল ও করলা শষা চাষ করা হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর করলা ও ধুন্দলের ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজার দাম ভালো পেয়ে কৃষক খুশি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com