কোভিড -১৯ এর ‘মিউটেশন’ দেখে বিজ্ঞানীরা উদ্বেগে রয়েছেন। তাই আবারও মাস্ক পরার আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা। সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে যে ওমিক্রনের একটি উপভেরিয়েন্ট এরিস এখন ১০ টির মধ্যে ১টি কোভিড কেসের জন্য দায়ী। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রতি ১০০,০০০ তে আনুমানিক ৩.৩ থেকে লাফিয়ে ৭.২ তে পৌঁছেছে । একটি একেবারে নতুন সাব-স্ট্রেন, যেটির নাম এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঠিক হয়নি বলে বিজ্ঞানীরা ‘ইঅ.৬’ হিসেবে এটিকে উল্লেখ করছেন , এটি সামনের সপ্তাহগুলিতে বেগ দিতে পরে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা । যদিও এটি এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র দুটি দেশে পাওয়া গেছে, ডেনমার্ক এবং ইসরায়েল। একজন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে নতুন সাব -স্ট্রেনটি ইতিমধ্যেই পরিবর্তিত হওয়ার একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা দেখাচ্ছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ ডা. ত্রিশা গ্রিনহালঘ, টুইটারে লিখেছেন: “আমার বিভিন্ন বিজ্ঞানের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলি লক্ষ্য করছি ।
কোভিড -১৯ জেনেটিক বংশের ক্লিপ এবং ডায়াগ্রামগুলি নিয়ে শেখ আবারো আলোচনা শুরু হয়েছে । মনে হচ্ছে আবারও মাস্ক পরার সময় আসছে ।” ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একজন গণিতবিদ প্রফেসর ক্রিস্টিনা পেজেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বলেছেন , ”এখনই ভয়ের কারণ না থাকলেও বৈকল্পিকটির অনেক নতুন মিউটেশন রয়েছে যা পূর্ববর্তী ওমিক্রন স্ট্রেনের থেকে ভিন্ন।” তিনি যোগ করেছেন যে এর অর্থ এটি “সম্ভাব্যভাবে একটি বড় তরঙ্গ সৃষ্টি করতে সক্ষম”।মঙ্গলবার বৃটিশ মেডিকেল জার্নালে একটি মতামতের অংশে, অধ্যাপক বলেছেন যে এটি নিশ্চিত যে আমরা অন্য একটি কোভিড -১৯ তরঙ্গে প্রবেশ করেছি। যদিও এই তরঙ্গটি হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি বড় ঢেউয়ের কারণ হবে এমন সম্ভাবনা কম। মৃত্যু কমতে পারে যুক্তরাজ্যের উচ্চ হারের টিকা দেওয়ার কারণে।
তিনি যোগ করেছেন যে তার প্রধান ভয়গুলির মধ্যে একটি ছিল যে কোভিড সংক্রমণ এনএইচএসের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ এবং শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণের কারণে। যেমনটি গত শীতে দেখা গেছে। যদিও যুক্তরাজ্যের সরকার বা জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা মাস্ক পরার জন্য কোনও সরকারী নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারী মাস্ক পরার আইনি নির্দেশ তুলে নেয়া হয়। কোভিড নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির ১২% বৃদ্ধির মধ্যে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লোকেদের পুনরায় মাস্ক পরার আহ্বান জানানো হয়েছে । প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য কোভিড -১৯ উপদেষ্টা বোর্ড ট্রানজিশন টিমের প্রাক্তন সদস্য ডা. সেলিন গাউন্ডারসম্প্রতি সিবিএস মর্নিংসকে বলেছিলেন যে ” শীত আসছে। তাই এখন থেকে সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন। ” সূত্র: মিরর