বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আজ শুক্রবার আজ ১ সেপ্টেম্বর পা রাখলো ৪৬ বছরে। দলটির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। ১৯৭৮ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীদের ’যূথবদ্ধ শক্তিমঞ্চ’ হিসাবে এই দল গঠন করেন। প্রতিষ্ঠার পর সাড়ে চার দশকের মধ্যে গত এক যুগের বেশী সময় ধরে সবচেয়ে প্রতিকুল সময় পার করছে দলটি। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ হওয়ার পর থেকে দলের অবস্থা অনেকটা নাজুক হয়ে পড়ে। তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষ মুক্তি পেলেও অসুস্থতা ও বিধিনিষেধের বেড়াজালে এখনো সক্রিয় হতে পারেন নি। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী বেগম জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব লাভ করেন লন্ডনে বসবাসরত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দলকে গনতান্ত্রিক পন্থায় পুনর্গঠিত করে সর্বস্তরে শক্তিশালী ও আন্দোলনমুখী করার উদ্যোগ নেন। তার প্রচেস্টায় দলকে তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে পুরোদমে। সেই সঙ্গে তার নেতৃত্বে তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত মিছিল সমাবেশ আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির পাশাপাশি ১১ টি অঙ্গসংগঠনের পুনর্গঠন প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির একাধিক সিনিয়র নেতা সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরলস প্রচেস্টা ও দিক-নির্দেশনায় দলের সর্বস্তরে গতিশীলতা ফিরেছে। তারেক রহমান প্রতিদিনই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে স্কাইপেসহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করছেন,দিক-নির্দেশনা-আদেশ-নির্দেশ দিচ্ছেন। প্রতি সপ্তাহে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হচ্ছে। সেখানে দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও দলীয় বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবনা গৃহীত হচ্ছে। দলের নেতারা বলছেন,দুই ইস্যু নিয়ে তৈরী হয়েছে বিএনপির আন্দোলনের ’রোডম্যাপ’। বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি,তারেক রহমানের নিরাপদ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলা। এই লক্ষ্য কার্যকরের জন্য আওয়ামী সরকার বিরোধী দলগুলোতে থাকা সমমনাদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের রোডম্যাপ প্রনয়নের চেস্টা চলছে।