আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্রসমাবেশে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে স্মারকটি তুলে দেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে এ স্মারক প্রদান করা হয়। সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে খ- খ- মিছিল নিয়ে জড়ো হয় নেতাকর্মীরা। ফলে পুরো এলাকা সমাবেশস্থলে পরিণত হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশের মঞ্চে আসেন ৩টা ৪০ মিনিটে। তারপর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ছাত্রলীগের দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন ছাত্রলীগের সদস্যরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। শোক জানানো হয় এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে।
ছাত্রলীগের অভিভাবক শেখ হাসিনাকে ব্যাচ পরিয়ে দেন সংগঠনটির চার নারী নেত্রী। এ সময় ছাত্রলীগের ম্যাগাজিন ‘মাতৃভূমি’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উন্মুক্ত করা হয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ছাত্রলীগের পোস্টার।
শপথ নিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গব্ন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নামে শপথ নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সর্ববৃহৎ ছাত্রসমাবেশে’ তারা এ শপথ নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন তার বক্তব্যের পরে বলেন, ‘আজ আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি শপথ নিবো। আমরা শেখ হাসিনাকে কথা দেবো, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যে লড়াই আমরা শুরু করেছি, সেটা বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যাবো।’
এরপর শপথ পাঠ করান তিনি। এসময় দাঁড়িয়ে এক হাত সামনে বাড়িয়ে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে এই শপথ পাঠ করেন ছাত্রসমাবেশে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শপথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাত বজ্রমুষ্টি করে উচ্চারণ করেন, ‘আমরা বাঙালির মহান স্বাধীনতা ও পূর্ব পুরুষের পবিত্র রক্তে ভেজা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের নবরুপায়ণের রুপকার বাঙালির নির্ভরতার শেষ ঠিকানা দেশরতœ শেখ হাসিনার নামে দৃঢ়চিত্তে শপথ করছি যে, তারুণ্যের স্বপ্নের স্বদেশ পিতার কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা এবং পরিকল্পিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপসহীন, অক্লান্ত, আমৃত্যু সদা সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। আমরা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, বঙ্গমাতার সাধনা, দেশরতেœর সাহসকে নিজের জীবন গঠনে ও সমৃদ্ধ স্বদেশ গড়তে মূলনীতি মানবো।’ তারা আরও বলেন, ‘তারুণ্য লড়বে, তারুণ্য গড়বে, তারুণ্য দেশবিরোধী সকল অপশক্তিকে পিতার তর্জনীর দাপটে ধ্বংস করবে। বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে মর্যাদাশীল করতে দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াবে। জাতির পিতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং দেশরতœ শেখ হাসিনার প্রশ্নে এ দেশের তরুণ প্রজন্মকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’