কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সরকারি অর্থায়নে ৯৫টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তিনটি প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা এসব গভীর নলকূপ থেকে প্রায় ২ হাজার ১০৫টি পবিরার নিরাপদ পানি পাবে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারীতে প্রায় ৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি বছর সমগ্রদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ৫৮টি, মানবসম্পদ উন্নয়নে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্পের আওতায় ৩৫টি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য ২টি সহ মোট ৯৫টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
সমগ্রদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা গভীর নলকূপ থেকে ৫৮০টি পরিবারে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। প্রতিটি নলকূপ থেকে পাইপের মাধ্যমে ১০টি বাড়িতে পানি সরবরাহ করা হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা গভীর নলকূপ থেকে ১ হাজার ৪০০ পরিবার সুপেয় পানি পাবে। প্রতিটি নলকূপ থেকে পাইপের মাধ্যমে ৪০টি বাড়িতে পানি সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও বঙ্গ সোনাহাট ও পাইকেরছড়া ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য স্থাপন করা গভীর নলকূপ থেকে পাইপের মাধ্যমে সেখানকার প্রায় ১২৫টি পরিবারকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। প্রতিটি নলকূপের ১ দশমিক ৫ অশ্ব শক্তির বৈদ্যুতিক মোটর মাটির ৬০০ ফুট গভীর থেকে পানি উত্তোলন করবে। পানি সংরক্ষণের জন্য ১৫ ও ২৫ ফুট উচ্চতার কংক্রিটের কাঠামোর উপর ৩ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার একটি করে ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ভিত্তিক ক্ষুদ্র সরবরাহ প্রকল্পের পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের ফেডারেশন এলাকার কয়েকজন সুফলভোগী বলেন, গভীর নলকূপের পানি নিরাপদ। সরকারি খরচে গভীর নলকূপ করে দেওয়ায় আমরা খুব খুশি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম লাভলু বলেন, গভীর নলকূপ স্থাপনের সময় মাটির গভীরে পাথরের স্তর পরে। এতে ব্যয় বেড়ে যায়। তাই সবার পক্ষে নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা সম্ভব হয়না। গভীর নলকূপের প্রচুর চাহিদা ও প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও নতুন করে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।