এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব জায়গায় বিকল্প হয়ে উঠছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন কোনো কাজ নেই যেটা করতে পারে না। এআই খবর পড়া থেকে শুরু করে রচনা লেখা, চাকরি বা ছুটির আবেদন, চুক্তিপত্র, কোনো ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা, ছোটখাটো প্রতিবেদন তৈরি করে দিতে পারে।
এআই কম্পিউটার প্রোগ্রাম, গান বা কবিতাও লিখে দিতে পারে ব্যবহারকারীর জন্য। আবার আপনি চাইলে আপনার ভার্সিটির রিপোর্ট বা প্রেজেন্টেশন এই এআইয়ের মাধ্যমে লিখে নিতে পারবেন। এবার শোনা যাচ্ছে, এআই ক্যানসার শনাক্ত করতেও সক্ষম।
ডিজিটাল প্যাথলজি সংস্থা পাইজেনের সঙ্গে যৌথ ভাবে মাইক্রোসফট তৈরি করছে এক বিশেষ এআই মডেল। এটি হতে চলেছে ক্যানসার শনাক্তকরণের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম ইমেজ-বেসড এআই মডেল। সংস্থা বলেছে, মডেলটিকে প্রশিক্ষণ দিতে প্রায় চার মিলিয়ন ডিজিটাইজড মাইক্রোস্কোপিক স্লাইড ব্যবহার করা হবে। সেখানে নানা ধরনের ক্যানসারের তথ্য পাওয়া যাবে, এই তথ্য ব্যবহার করা হবে পাইজেনের নিজস্ব সংগ্রহ থেকে।
পাইজেন এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে মাইক্রোসফটের উন্নত সুপারকম্পিউটিং পরিকাঠামো। কৃত্রিম মেধাকে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সেই মডেল ব্যবহার করা হবে সারা বিশ্বের হাসপাতাল ও গবেষণাগারগুলোতে। সেখানেও কাজে লাগানো হবে মাইক্রোসফট আজউরকে। ২০২৪ সালের মধ্যেই এর কাজ শেষ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর তা হলেই রোগ শনাক্তকরণ আরও সহজ হবে।
নতুন এআই মডেল চালু ইমেজ-বেসড এআই মডেলগুলোর মধ্য সবচেয়ে বড়। এই মডেল ক্যানসারের সূক্ষ্ম জটিলতাগুলো খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী প্রজন্মের ক্লিনিকাল অ্যাপ্লিকেশন এবং কম্পিউটেশনাল বায়োমার্কারগুলোকে সাহায্য করবে। অঙ্কোলজি এবং প্যাথলজির পরিধি এতে অনেকখানি বিস্তৃত হবে বলে দাবি করছে সংস্থাটি।
পাইজেনের পক্ষ থেকে সংস্থার এসভিপি টেকনোলজি রাজিক ইউসুফি বলেন, ‘পাইজেন প্রথম থেকেই উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। কৃত্রিম মেধা, প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল প্যাথলজিতে এর গভীর দক্ষতার সঙ্গে মাইক্রোসফটের বিপুল কম্পিউট শক্তি মিলে গেলে ক্যানসার ইমেজিং-এর প্রভূত উন্নতি সম্ভব। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন এর মাধ্যমে।’
সূত্র: সিএনবিসি