বিশ্বের কোটি মানুষকে অনাহারে, অর্ধাহারে রাখার বিষয়টি দীর্ঘদিনের বাস্তবতা। ব্যাপ্তির দিক থেকেও এর বিশালতা বোঝাতে গিয়ে ক্ষুধাকে ‘মহাকাব্যিক মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) সম্মেলনে তিনি বিশ্বে ক্ষুধার্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলার বিষয়টির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘এসডিজি শুধু কিছু লক্ষ্যের তালিকা নয়। এগুলো অগুণতি মানুষের আশা, স্বপ্ন, অধিকার এবং প্রত্যাশা। প্রাচুর্যের এই দুনিয়ায় ক্ষুধা মানবতার ওপর এক মর্মান্তিক দাগ এবং মহাকাব্যিক এক মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেস আরো বলেন, সারা বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষদের কষ্ট দূর করতে একটি ‘বৈশ্বিক উদ্ধার পরিকল্পনা’ দরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের লক্ষ্য স্থির করে জাতিসঙ্ঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নির্ধারণ করে ২০১৫ সালে। সোমবার জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব জানান, গত প্রায় আট বছরে মাত্র ১৫ শতাংশ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ সময় তিনি চরম দারিদ্র্য এবং পুষ্টিহীনতা দূরীকরণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, সকলের জন্য বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন এবং মোটামুটি মানের কাজের সুযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়গুলোতে সার্বিক কার্যক্রম চলছে জানালেও কিছু ক্ষেত্রে অবনতির বিষয়ে সতর্কও করে দেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে