বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতা পেলে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে-মাফরুজা সুলতানা সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস হাফেজা আসমা খাতুনের ইন্তেকালে বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির শোক দেশের মেধাবী ও আদর্শবান লোকদেরকে দলে আনার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন: তারেক রহমান গোদাগাড়ীতে টমেটো চাষে ‘নীরব বিপ্লব’ ট্রাম্পের কাছে বাস্তববাদী পদক্ষেপ আশা করছে ইরান ভূমি উপদেষ্টা হলেন আলী ইমাম মজুমদার দিন-তারিখ ঠিক করে সংস্কার করা অন্তর্র্বতী সরকারের কাজ নয়:খন্দকার মোশাররফ রাজনীতিতে স্লোগান নয়, মেধা ও বুদ্ধির প্রতিযোগিতা চলছে: ফখরুল বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর

দ্বাদশ নির্বাচন: জামালপুরে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত আ.লীগের প্রার্থীরা, কৌশলী অবস্থানে বিএনপি

আবুল কাশেম জামালপুর
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

হজরত শাহ জামালের (রহ.) পুণ্যভূমি জামালপুর বাংলাদেশের ২০তম জেলা। ৭৮৪.৫৫ বর্গমাইল আয়তনের এই জেলায় প্রায় ২৬ লাখ মানুষের বসবাস। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের ৫টি আসনে প্রায় ২২ লাখ ভোটারের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন ৭ উপজেলার মোট ৫ জন সংসদ সদস্য। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার ও নিজ নিজ দলের কেন্দ্রের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার লাগানো, মিছিল-মিটিং সহ জনসংযোগ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোয়নপ্রত্যাশীরা। তবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে কৌশলী অবস্থানে রয়েছে জামালপুর জেলা বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। জামালপুর-১ আসন (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) : যমুনা-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত দেওয়ানগঞ্জ ও পাহাড়ি জনপদবেষ্টিত বকশীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ১৩৮ নম্বর আসনটি জামালপুর-১। দেশের সীমান্তঘেষাঁ এই উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রভাব সমানে সমান। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জামালপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ পাঁচবার এবং বিএনপি মাত্র একবার জয়ী হয়। বর্তমানে এই আসনে আওয়ামী লীগের ৫ জন ও বিএনপির ৪ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী বর্তমান এমপি আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান। অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ব্যারিস্টার শাহাদাৎ বিন জামান শোভন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের কোষাধ্যক্ষ সাহিদা আক্তার রীতা এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় কিছুটা নিশ্চুপ রয়েছে বিএনপি। তবে মনোনয়নের আশায় দলীয় সভানেত্রীসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গণসংযোগ, সভা-সমাবেশে এবং দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে টানার প্রতিযোগিতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এর মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে নিজস্ব অর্থায়নে সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার। জামালপুর জেলায় ৬০ হাজার কোটি টাকার অধিক উন্নয়নকাজ চলমান থাকলেও ১০ ভাগ কাজও হচ্ছে না দুই উপজেলায়। আর এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।
অনেকেই এর কারণ হিসেবে ৮৪ বছর বয়সি বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বার্ধক্যকে দায়ী করেন। তাই এই আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীর বিপক্ষে একজন তরুণ প্রার্থী চান সাধারণ ভোটাররা। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার বলেন, পুরো জেলার ভেতরে জামালপুর-১ আসনের এখনো অনেক উন্নয়নকাজ বাকি আছে। দল যদি আমাকে মনোনীত করে আর আমি যদি এমপি হতে পারি তাহলে আমি দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব। বকশীগঞ্জবাসীর বহুদিনের আশা বকশীগঞ্জে ট্রেন চলাচল করবে। এই বিষয়টি থাকবে আমার উন্নয়নমূলক কাজের তালিকার প্রথম স্থানে। অপর দিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার শাহাদাৎ বিন জামান শোভন জানান, আমার বাবা সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে সরকারের ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে আমি বিএনপির একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই এবং জামালপুর-১ আসনটি বিএনপির দখলে আনতে চাই।
জামালপুর-২ আসন (ইসলামপুর) : ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত উপজেলা ইসলামপুর জাতীয় সংসদের ১৩৯ নম্বর আসন। একসময় দুর্গম যোগাযোগব্যবস্থা থাকলেও বর্তমান সরকারের উন্নয়নে ব্রিজ-কালভার্ট, যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাধের পাশাপাশি দুর্গম চরেও নির্মাণ করা হয়েছে পাকা সড়ক। আর এই উন্নয়নের প্রভাব পড়বে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে। বর্তমানে এই আসনে আওয়ামী লীগের ৯ জন ও বিএনপির ৪ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। জামালপুর ২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল হক খান দুলাল, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও বর্তমান সংরক্ষিত নারী এমপি হোসনে আরা, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র শেখ আব্দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জিয়াউল হক জিয়া, সদস্য মুর্শেদুজ্জামান হ্যাপি, ডা. খোরশেদুজ্জামান মিশ্রি মিয়া ট্রাস্টের সভাপতি এস এম শাহীনুজ্জামান, সাবেক এমপি রাশেদ মোশারফের স্ত্রী এস এম কামরুন্নাহার পারুল, সাবেক মহিলা এমপি মেহজাবিন খালেদ বেবী এবং বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. শাহজাহান আলী মন্ডল। উক্ত আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সুলতান মাহমুদ বাবু, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান বিপুল এবং সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আব্দুল হালিম। জেলার ৫টি আসনের মধ্যে শুধু ইসলামপুরেই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে জাতীয় পার্টি।
এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ। আওয়ামী লীগের দুর্গখ্যাত জামালপুর-২ আসনে ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষা করে বহিরাগত ও আত্মীয়স্বজনদের প্রাধান্য দিয়ে দল পরিচালনা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করায় গতবারের মতো এবারো বর্তমান এমপি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন জ্যৈষ্ঠ নেতা ও এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ কারণে আসনটি এবার আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হতে পারে। এই আসনে বিএনপির জনপ্রিয় প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু। তাই আসনটি ধরে রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটাররা। এই আসনে কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ (সিপিবি) এর সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান একজন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ এবং ২০০৮ সালে নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু বাম রাজনীতির দুর্বলতার কারণে দুই নির্বাচনেই জামানত হারান তিনি। তবে এবার তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা? তা নিশ্চিত বলতে পারছেন না দলটি। জামালপুর-৩ আসন (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) : জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রার্থী জামালপুর-৩ আসনে। মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জামালপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। আর বিএনপির একক প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা ছয়বার এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। আওয়ামী লীগ সরকারের এই টানা তিনবারের মেয়াদে মির্জা আজমের একান্ত প্রচেষ্টায় পুরো জামালপুর জেলায় ৬০ হাজার কোটি টাকার অধিক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এই কাজগুলো সমাপ্ত হলে বদলে যাবে জামালপুরের রূপ। জামালপুর হয়ে উঠবে দেশের অন্যতম কয়েকটি জেলার মধ্যে একটি। তাই মির্জা আজমের আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসন বিএনপির দখলে আনা অনেকটাই অসাধ্য বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ১৪১ জামালপুর-৪ আসন (সরিষাবাড়ি) : যমুনা সার কারখানাকেন্দ্রিক এই আসনটি প্রতিবার থাকে জেলাবাসীর নজরে। ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জামালপুর-৪ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ তিনবার, বিএনপি দুইবার এবং জাতীয় পার্টি ১ বার জয়ী হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান এমপি ডা. মুরাদ হাসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস ও প্রাণিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলাল, তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ আজাদ তারা। জামালপুর ২ আসনে আসনে বিএনপির একক প্রভাবশালী প্রার্থী হলেন- বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার সালাম তালুকদারের ভাতিজা ও জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম। তবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত না আসায় নিশ্চুপ রয়েছেন তিনি। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান।
জামালপুর-৫ আসন (জামালপুর সদর) : জেলা সদর ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় পুরো জেলাবাসীর নজর জামালপুর-৫ আসনে। এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। শুধু ১৯৯১ সালে এই আসনে জয় পায় বিএনপি। এরপর টানা পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে এই আসন ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ। জামালপুর ৫ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ সালেহীন রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজনু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি।
এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন- ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক এবং সাবেক মহিলা এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খান। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে কেন্দ্র থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই আমরা এই বিষয়ে আগেই কিছু বলতে পারছি না।
তবে বিএনপি নির্বাচনে আসলে জামালপুরের ৫টি আসনেই বিপুল ভোটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জয়ী হবে। কারণ, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের নির্বাচত নয়। এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই জনগণ এবার বিএনপির পক্ষে তাদের রায় দেবেন। সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটি গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য আছে। নির্বাচনের আগে অনেক প্রার্থী থাকে। যখন মনোনয়ন হয়ে যায় তখন সবাই এক হয়ে যায়। আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের জনসাধারণ আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জামালপুরের ৫টি আসনেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে পুনরায় জয়যুক্ত করবে। কারণ, শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই জননেতা মির্জা আজমের প্রচেষ্টায় জামালপুরে ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার দৃশ্যমান। এসব উন্নয়নকাজ সমাপ্ত হলে আমাদের জামালপুর জেলা হবে বাংলাদেশের অন্যান্য উন্নত এবং স্মার্ট জেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম। এ কারণেই জামালপুরের সর্বস্তরের ভোটার ভাই বনেরা এবারের জাতীয় নির্বাচনে আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com