বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের সাথে প্রতারণার দিন শেষ হয়ে গেছে। এবার দেশের জনগণের জান-মাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য জনতার আদালতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারকে জবাব দিতে হবে। রাতের ভোটে ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকারের পাপের ফসল হিসেবে বিদেশীরা ভিসা-নীতি, স্যাংশান দিয়েছে। অন্যদিকে দেশের জনগণ এবার লাল কার্ড নিয়ে ভোটারবিহীন সরকারকে বিদায় করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকার ভয়াবহ বিপদ থেকে বাঁচতে জনগণকে বিপদে ফেলার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষের অধিকার আদায় ও প্রতি ইি ভূমি রক্ষার স্বার্থে তরুণ-যুবকেরা জেগে উঠেছে। তারা এদেশের মাটিতে আর কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দিবে না। জনতার এই জাগরণ এবার সকল অপশক্তিকে বিদায় করে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাআল্লাহ। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী পূর্ব জোনের থানা দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য যথাক্রমে যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা আমীর মো: শাহজাহান খান, কদমতলী থানা আমীর মাওলানা মীর বাহার আমিরুল ইসলাম, ডেমরা পশ্চিম থানা আমীর মাওলানা মো: বায়জিদ হাসান, যাত্রাবাড়ী মধ্য থানা আমীর অ্যাডভোকেট একে আজাদ, যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল থানা আমীর এম আর মালেকসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের শপথের দাবি হচ্ছে আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় ও তাঁর আনুগত্য করার সাথে সাথে সকল অন্যায় জুলুম ও বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা। ফলে দেশের এই ক্রান্তিকালে জামায়াতের একজন দায়িত্বশীলকে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজেদের জান-মাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার কাজকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। এই অবৈধ সরকার সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর অফিসসমূহ জোরপূর্বক বন্ধ করে রেখেছে। জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক নেতাকর্মীর নামে অসংখ্য মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে, গ্রেফতার করে, জুলুম-নির্যাতন ও হয়রানী করার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যহত করেছে। আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি, তবে আর নয় এবার সকল জুলুমের অবসান করতে হবে। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং এদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস চলছে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। জনগণের কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছে। সকল রাজনৈতিক মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। দেশে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। তাই জনগণের পছন্দের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। এই জুলুমবাজ আওয়ামী সরকার অনলাইন প্লাটফর্মে বিরোধী মতকে ঘায়েল করতে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দুই লাখ আওয়ামী আইটি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে অথচ তারা ভুলেই গেছে দেশের ১৮ কোটি জনগণ সত্য প্রকাশে এক একজন দক্ষ মিডিয়া কর্মী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। তিনি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই জুলুমবাজ সরকারকে বিদায় জানানোর জন্য দেশের জনগণকে রাজপথে নেমে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।-বিজ্ঞপ্তি