তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ দলে না থাকার ঘটনা ক্রিকেটপাড়া পেরিয়ে এবার পৌঁছেছে আদালত পাড়ায়। বিসিবিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। যেখানে ষড়যন্ত্রকারী আখ্যা দিয়ে হাথুরুসিংহেকে অপসারণ করার দাবিও রাখা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছে টাইগাররা। তবে বিশ্বকাপ বহরে নেই তামিম ইকবাল। তাতে বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন সমর্থকরা। এমতাবস্থায় প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি ও ওপেনার তামিমকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে এই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল। বিসিবি সভাপতি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচককে উদ্দেশ্য করে এই নোটিশ পাঠানো হয়। এই প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় ওই আইনজীবী বলেন, ‘হাথুরুসিংহে অযোগ্য কোচ। তিনি নিজের দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। তার ওডিআই ক্যারিয়ারে খেলার ম্যাচ সংখ্যা ছিল ৩৫টি এবং গড় ছিল মাত্র ২০ দশমিক ৯০। আমাদের দেশের কোচ হওয়ার আগে তিনি কোনো দেশের পূর্ণাঙ্গ কোচও ছিলেন না।
তিনি যোগ করেন, ‘হয়তো কোনো মহলের কমিশনের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এবং দেশের ক্রিকেটকে শেষ করার জন্য তাকে আমাদের হেড কোচ বানানো হয়েছে। হাথুরুসিংহে কোচ হওয়ার পর থেকে সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। যে পাঁচ খেলোয়াড়ের হাত ধরে এই দেশের ওডিআই র্যাংকিং ৫ নম্বরে ছিল, তাদের দল থেকে বাদ দেয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন।’ ‘এ বছরে তার নেতৃত্ব পাঁচটি ওডিআই সিরিজে আয়ারল্যান্ড ছাড়া বাকি সব সিরিজে পরাজিত হয়েছে। সবশেষ ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাটিতে পরাজিত হয়েছে।’ নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও ম্যাচ সংখ্যায় দ্বিতীয় সেরা অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তামিম ইকবাল। তার জায়গা হলো না বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে! এটি একটি ষড়যন্ত্র। এশিয়া কাপে ভরাডুবি হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ওপেনিং। নতুন প্লেয়ার তথা তানজিম তামিমকে এই বড় মে উঠানো ঠিক হবে না বরং অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল ঠিক।’
নোটিশে বলা হয়, ‘একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তামিমের টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি আছে। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সেঞ্চুরির মালিক। লর্ডসের অনার বোর্ডে একমাত্র বাংলাদেশী সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে তামিম ইকবালের নাম আছে। ঘরের মাটিতে তার গড় ৩৭, ঘরের বাইরে ৩৫ -এর মতো, দুই জায়গাতেই সমান সাতটি করে সেঞ্চুরি আছে তার। সুতরাং আনফিটের অজুহাতে অভিজ্ঞ তামিমকে দলে না রাখা কোচ ও অধিনায়কের ব্যক্তিগত আক্রোশই দায়ী।’