রাজনীতির মাঠে দলগত ভাবে কাউখালি উপজেলার মধ্যে বি এন পির অবস্থান ভালো বলা যায়। উপজেলা নির্বাচনে দলগত ভাবে বিএনপির প্রার্থীর জয় জয়কার ছিল। যদিও বি এন পির প্রার্থীর ক্লিন ইমেজ থাকার কারণে বিএনপির ভোটাররা ভোট দেওয়ার পাশাপাশি শান্তি প্রিয় ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন।শান্তির সুবাতাস থাকার কারণে বি এন পির নেতা কর্মীরাও মাঠে ছিল। অবশ্য চলতি সময়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দারুণ হাঁকডাক শুরু হয়েছে স্ব স্ব দলের মধ্যে। সরকার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কাউখালী উপজেলার বাসিন্দা আলহাজ্ব ইসাহাক আলী খান পান্নার নাম আসে সবার আগে। বিএনপির স্থানীয় কোন নেতা নেই মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় মহিউদ্দিন মহারাজ। অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক কুমন্ত্র দিয়ে একের পর এক নেতাদের বাগিয়ে নেওয়ার মিশনে রয়েছে। অবশ্য এত কিন্তুর পরও আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা পিরোজপুর-২ আসনের রাজনীতি। বিগত বছরগুলোতে আলোচনা তেমনটা না হলেও চলতি সময়ে আলোচনায় মাঠ গরম রয়েছে। আর সেই কারণে জেলার গন মাধ্যম কর্মীরা জনমত জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে সুকৌশলে। বিশেষ করে পিরোজপুর-২ আসনে স্বরূপকাঠি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর পরই সকল গানিতিক হিসাব নিকাশ উল্টো পাল্টা হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপির ঘাঁটিতে হানা দিচ্ছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। পাশাপাশি জনপ্রিয় দল বি এন পির অবস্থান মজবুতও বলা যায়। জরিপে ১নং সয়না রগুনাথপুর ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের অবস্থান ভালো। তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা নুতন মুখের প্রার্থী চায়।অবশ্য ২নং আমরাজুডি ইউনিয়নে বিএনপির অবস্থান মজবুত। এলাকায় বি এন পির মনোনয়ন প্রত্যাশী কোন প্রার্থী নেই। জরিপে ৫৬% ভোটাররা ভান্ডারিয়ার প্রার্থী চায়। মাহমুদ হোসাইনের পরিচিতি পাওয়ার জন্য প্রচার প্রচারণার দাবী জানান। সুমন মঞ্জুর বিকল্প মাহমুদ হোসাইনকে পাওয়ার বাসনা ৩৬% ভোটারদের। কাউখালি সদর ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপির ইমেজ সমানে সমান। সদরের ৪৩% ভোটাররা জরিপে বলেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পরিবারের আত্মীয় মাহমুদ হোসাইন। বিগত বছরগুলোতে এই পরিবারের অবদান অতুলনীয়। তবে ৩৭% ভোটাররা জরিপে বলেন, স্বরূপকাঠি – কাউখালি ও ভান্ডারিয়া থেকে বি এন পির প্রার্থী জয়ী হবে নিঃসন্দেহে। এদিকে চিড়া পড়া ইউনিয়নের মধ্যে বি এন পির অবস্থান মজবুত মনে হচ্ছে জনমত জরিপে। জরিপে ৫৬% ভোটাররা বলেন, পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হবে ইনশাআল্লাহ। ৪৭% ভোটাররা বলেন মাহমুদ হোসাইন প্রার্থী হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। বহু হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাররা জরিপে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে নাই। তাই পরিবর্তন চায় ২১% ভোটাররা। এদিকে শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের মধ্যে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপি ভালো সাপোর্ট রয়েছে। অবশ্য জরিপ অনুযায়ী ১৪% ভোটাররা বলেন, বিএনপির অবস্থান মোটামুটি ভালোই। সেই কারণে ভান্ডারিয়া থেকে প্রার্থী চায়। মাহমুদ হোসাইনের পরিচিতি রয়েছে। জরিপে কাউখালি উপজেলার বিভিন্ন গণ মাধ্যম কর্মীরাও অংশ নেন। স্পষ্ট ভাষায় বলেন, কাউখালি উপজেলার মধ্যে বি এন পির অবস্থান মজবুত। বিএনপির অবস্থান মজবুত হলেও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কোন প্রার্থী নেই। ভান্ডারিয়া নির্ভর কিংবা স্বরূপকাঠি নির্ভর। অবশ্য কাউখালি উপজেলার মধ্যে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপির অবস্থান আহমরি ভালো নয়। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জেপির দুর্বলতা কাজে লাগাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। অবশ্য বিএনপির অবস্থান মোটামুটি ভালো। মাহমুদ হোসাইনের একটা ইমেজ রয়েছে। পারিবারিক ইমেজ কাজে লাগানোর মোক্ষম সময় এখনই। জরিপে কাউখালি উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষের সাক্ষাৎ নেওয়া হয়েছে। গড় জরিপ অনুযায়ী ৪২% ভোটাররা বলেন মাহমুদ হোসাইনকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দিলে মন্দ হবে না। ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্যে একটা দারুণ ইমেজ রয়েছে। ২৫% ভোটাররা বলেন সুমন মঞ্জু ও মাহমুদ হোসাইনের সাথে টক্কর হবে মনোনয়ন নিয়ে। ৭৮% ভোটাররা জরিপে বলেন স্বরূপকাঠি উপজেলা থেকে কেহই মনোনয়ন পাবেননা। ১৯% ভোটাররা জরিপে বলেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হবে ভান্ডারিয়া থেকে। সর্বশেষ জনমত জরিপে অংশ নেয় কাউখালি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। সরাসরি কোন ধরনের মন্তব্য করেননি। তবে স্পষ্ট ভাষায় নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বিএনপির অবস্থান সমগ্র বাংলাদেশে ভালো। নির্বাচনে বিএনপির সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। ভান্ডারিয়া থেকে বি এন পির প্রার্থী হওয়া দরকার। মাহমুদ হোসাইনের ভান্ডারিয়া এলাকায় একটা ক্লিন ইমেজ রয়েছে। পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে সমগ্র এলাকায়। সুমন মঞ্জু ও মাহমুদ হোসাইনের সাথে টক্কর হবে মনোনয়ন নিয়ে। অবশ্য জরিপ অনুযায়ী ৫৬% ভোটাররা বলেন, পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীর বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। স্বরূপকাঠি উপজেলা সহ কাউখালি ও ভান্ডারিয়ায় বি এন পির অবস্থান মোটামুটি ভালো। দলীয় আহামরি কোন্দল নেই। গত ১৫ বছরের পুরনো ক্ষত শুকাতে দলের নির্দেশনা মেনে নিয়েই ধানের শীষের বিজয় দেখতে মরিয়া। আর সেই কারণে জরিপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পেশার সন্মানিত ভোটাররা বলেন, ভান্ডারিয়া থেকে বিএনপির প্রার্থী চায় ৭৮% ভোটাররা। আর গড় জরিপ অনুযায়ী ৫৪% ভোটাররা বলেন ভান্ডারিয়া থেকে বিএনপির প্রার্থী হোক মাহমুদ হোসাইন। দলমত নির্বিশেষে জরিপে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে মাহমুদ হোসাইনের রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে। বিগত সময়ের সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে জরিপে সাধারণ মানুষের চাওয়া ভান্ডারিয়া থেকে মাহমুদ হোসাইনকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। পিরোজপুর-২ আসনের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য মাহমুদ হোসাইন সকলের আস্থার প্রতিক।