মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে পুনরায় ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সাধ্য অনুযায়ী জনগনের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার যেকোন ভুল সকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তিনি সোমবার বিকালে নগরীর কালীবাড়ি রোডস্থ সেরনিয়াবাত বাস ভবন কার্যলয় বসে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত মৃত ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবারের সদস্যদের মাঝে ল্যাম্পগ্রান্ট ও গ্রাইচুটির প্রায় পৌনে চার কোটি টাকার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে মেয়র আরো বলেন, বিসিসির স্টাফরা অবসরে গেলে তারা পাওনা নিতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে আমি দায়ীত্ব নেওয়ার পর বুঝতে পেরেছি এটা একটা অভিশাপ। তাই দায়িত্ব গ্রহনের পরপরই আমি অবসরে যাওয়া একসাথে ৩৮ জনকে সাড়ে চার কোটি টাকা প্রদান করেছি। বিগত দিনে বেতনের জন্য কর্মচারীদের আন্দোলন করতে হতো। আমি মেয়র হিসাবে দায়ীত্ব নিয়ে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করেছি। অনিয়মিতদের বেতন বাড়িয়ে ১০ হাজারে উন্নতি করার পাশাপাশি তাদের জন্য বোনাসের ব্যবস্থা করেছি। মেয়র বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য বলেন-ন্যায়, নীতি আর নিষ্ঠার সাথে সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে চেক নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত মৃত পরিবারের বেশ কয়েকজন তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারা বলেন, মেয়রের নেয়া এ উদ্যোগ প্রশংসনীয় ও নজিরবিহীন। তারা মেয়রের আগামী দিনগুলোর সফলতা কামনা করে তাকে রাষ্ট্রের আরো গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিসির প্যানেল মেয়র-১ গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, প্যানেল মেয়র-২ এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন সহ বিভিন্ন কাউন্সিলরবৃন্দ ও ইলেক্টনিক্স, প্রিন্ট মিডিয়ার সদস্য গণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য. ইতিপূর্বে বরিশাল পৌরসভা থেকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নতি হওয়ার পরও তৎকালীন সময়ে দায়ীত্বশীল নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা কখনো ঠিকমত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করার অনেক ইতিহাস রয়েছে।