ইলিশ শিকারে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বরিশালে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর। বুধবার রাত ১২টা থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। বরিশাল অঞ্চল নৌ-পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্রকে নিয়ে একাধিক টিম কীর্তনখোলা নদীতে মাছ ধরা বন্ধে নৌ-টহল শুরু করে। এই ২২ দিন সাড়ে ৩০০ নৌ-পুলিশ নদী ও খালে নিয়োজিত থাকবে। বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভয়াশ্রমের জেলাগুলো হলো বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুর। এ ছাড়া দেশের ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলার অংশ বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মধ্যে চাঁদপুর থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার ১০০ কিলোমিটার, ভোলার চর পিয়াল থেকে মেঘনার শাহবাজপুর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার, পটুয়াখালীর চর রুস্তুম ও তেতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুরে নরিয়া ও চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় মেঘনার ২০ কিলোমিটার, বরিশালের হিজলা থেকে মেহেন্দীগঞ্জ পর্যন্ত মেঘনার পুরো এলাকা, কালাবদর ও গজারিয়া নদীর ৮২ কিলোমিটার এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত। বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল কুমার দাস বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে, মসজিদ ও মন্দির থেকেও এই বিষয়ে প্রচার চালানোর কথা বলা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সময়ে মধ্যে বরিশাল বিভাগের তিন লাখ সাত হাজার ৮৪১ জন নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি করে বরাদ্দের চাল দেওয়া হবে। বিমল কুমার দাস আরও বলেন, ‘২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের টাস্কফোর্স উপজেলা প্রশাসনসহ সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করবে। এ সময় আইন ভেঙে ইলিশ শিকার করলে জেল-জরিমানা করা হবে।