রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় গঙ্গাচড়া বাজারের ভূটকা-বেতগাড়ী রোডে সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের ব্রিজ তৈরিতে পাথরসহ বিভিন্ন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, পরিমানে সিমেন্ট কম, নামমাত্র বিকল্প রাস্তা তৈরীর কয়েক দিন যেতে না যেতেই সেই রাস্তাটিও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জনসাধারনের চলাচলের ক্ষেত্রে এখন জনদুর্ভোগে রূপ নিয়েছে। জনগুরুত্বসম্পন্ন এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ব্রিজ এলাকার চারপাশের বসবাসকারী ভুক্তভোগী স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশার মানুষজন এবং পথচারীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। গঙ্গাচড়া সদরের বেশ ক’জন গণমান্য ব্যক্তি অভিযোগ তুলেছেন, অতীব প্রয়োজন নির্মাণাধীন ব্রিজটির কাজের সাথে জড়িতদের যে গড়িমসি দৃশ্যমান; সেটি নিয়ে খুব শিগগিরই তারা সড়ক ও জনপথের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ পর্যায়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। ব্রিজটি নির্মাণে নি¤œমানের চকলেট পাথর ব্যবহার, পিলার পাইলিংয়ে সাটারিং না করে উপরন্তু পরিমানে কম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রংপুর মেহেদী হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ‘আমাদের সমস্ত কিছু সিডিউল মোতাবেক হচ্ছে। পাথরে কিছু চকলেট পাথর থাকতে পারে, তাতে কাজে কোন সমস্যা হবে না। সব সময় আমাদের অফিসার কাজের সময় উপস্থিত থাকেন। পরিমান মতো সকল সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।’ পিলার পাইলিংয়ে সাটারিং না থাকলে নিচে ২০ হতে ২৫ ফুট মাটি সরে এসে ভরাট হয়ে যায় তাতে কি ব্রীজের সমস্যা হবে কি না ? প্রতিবেদকের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাইলিং এর সময় সাটারিং ধরা হয়নি, ৫ হতে ১০ ফুট বালু সরে ভরাট হতে পারে, তাতে ব্রিজের কোন সমস্যা হবে না। বিকল্প রাস্তা সিডিউল মত না হওয়ায় বিকল্প রাস্তার বিল দেয়া হবে না। একটু দুরে চলাচলের রাস্তা থাকায় জনগণের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না।’ ৮ কোটি ১৫ লখ ২৪ হাজার ৭শ’ ২.৭৯ টাকা ব্যায়ে মোহাম্মদ আমিনুল হক প্রাঃ লিঃ দারুস সালাম টাওয়ার-২, ঢাকা ১২১৬ কাজটি সম্পন্ন করছেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। গঙ্গাচড়া এলাকার নির্মাণ ঠিকাদারী কাজে দির্ঘদিনের অভিজ্ঞজনেরা এবং সচেতন এলাকাবাসী উদ্বেগের সাথে বলছেন, সরকারের টাকায় কাজে সওজ এর মতো অভিজ্ঞ সরকারি প্রতিষ্ঠানের এতো অবহেলাও উদাসীনতা কেনো। তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভাগীয় তদন্তসাপেক্ষে ব্রীজের নিম্নমানের কাজের উদঘাটন চান।