ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের বেইরিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবন ও যানবাহন দেখা যাচ্ছে। ছবিটি গত ১৩ অক্টেবরের। – ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ইসরাইল হামলার পর এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ ইসরাইলি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গত মঙ্গলবার দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কর্নিকাস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। জোনাথন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গাজা উপত্যকার আশেপাশের সব সম্প্রদায়কে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে পাঁচ লাখ ইসরাইলি। এর আগে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার হামলার ভয়ে লেবানন সীমান্ত থেকে ২০টি সম্প্রদায়কে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। একইসাথে হামাসের অন্য মিত্রদের আশঙ্কায়ও নানা সীমান্ত থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ইসরাইলিদের। এতে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে চলা এ যুদ্ধে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৪ হাজার ৩০০ জন। এখন পর্যন্ত যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সূত্র : আল-জাজিরা