গারাংগিয়া শরীফের প্রাণপুরুষ হযরত শাহ্ছুফি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ (রহ.) এর ৪৬তম বার্ষিক ওফাত দিবস উপলক্ষে ত্বরিকত সম্মেলন, যিকর, ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল শাহ মজিদিয়া ইসলামী কমপ্লেক্স ট্রাস্ট বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে সাতকানিয়ার গারাংগিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে ২১ অক্টোবর শনিবার বাদে আসর অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন শাহ্ মাওলানা আনওয়ারুল হক সিদ্দিকী, শাহসুফি মাওলানা শাহ্জাদা মাহমুদুল হক মজিদী, এন্তেজামিয়া কমিটির আহ্বায়ক আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ। আলোচক ছিলেন সাতকানিয়া কাঞ্চনা আনোয়ারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মান্নান শামসী, চুনতি হাকিমিয়া অনার্স মাস্টার্স মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইন, মাওলানা ড. এনামুল হক মুজাদ্দেদী, মাওলানা আবদুল জলিল, মাওলানা ঈসা, মাওলানা নুরুল আজিম, মাওলানা দলিলুর রহমান আল-কাদেরী, মাওলানা আহমদ নজির, মাওলানা তৈয়ব আলী মজিদী, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা শাহ আলম, মাওলানা শাব্বির আহমদ উসমানী, শাহজাদা মাওলানা মহিউদ্দিন মজিদী। হযরত বড় হুজুর কেবলার শানে মরছিয়্যাহ পাঠ করেন শাহজাদা মুহাম্মদ বিন মাহমুদ মজিদী ও শাহজাদা আহমদ বিন মাহমুদ মজিদী। আমন্ত্রিত খোলাফায়ে কেরাম ছিলেন মাওলানা আব্দুল মাবুদ, মাওলানা শাব্বির হোসাইন আমিরী, মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মাওলানা আবদুল হালিম ফকির, শাহ্সুফি আবদুস সালাম ফকির, মাওলানা আবদুল মাবুদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, লতিফ আনওয়ার চৌধুরী, মাওলানা মীর আহমদ আনসারী, মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, আবদুল মান্নান ফারুকী, শাহজাদা মঈনুদ্দিন মজিদী। বক্তারা বলেন, নৈতিক বন্ধনসমূহের প্রথম হলো ঈমানের বন্ধন। আর এটাই হলো সেই কেন্দ্রবিন্দু, যাতে মিলিত হয়েছে সকল মুমিন। সুতরাং ঈমান মুমিনদেরকে এমন এক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে, যা গোত্রীয় ভ্রাতৃত্বের চেয়ে সুদৃঢ় ঈমানের বৈশিষ্ট্যই হলো সংঘবদ্ধ করা ও ঐক্য সৃষ্টি করা; বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত করা নয়, ঐতিহাসিকভাবে একথা সত্য যে, প্রাক ইসলামী যুগে মানুষে মানুষে কোন ভাতৃত্বের বন্ধন ছিলনা। বিভিন্ন গোত্র, দল, খান্দানে বিভক্ত ছিল। ছিল পরস্পরের রক্ত পিপাসু ও জানমাল ইজ্জতের দুশমন। এমতবস্থায় শত্রুতা ভুলে সুসম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্বের মহান শিক্ষা দিয়েছিল হযরত মুহাম্মদ (সা)। মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়া নবী করিম (সা)’এর মহান আদর্শ। দরবারে আলীয়া গারাংগিয়ার পীর সাহেব শাহজাদা মাওলানা মাহমুদুল হক মজিদির মিলাদ-কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি হয়।