চকরিয়া পৌর শহরের চুরি, ছিনতাই রোধ সহ যানজট পর্যবেক্ষণ ৬৪ টি সিসি ক্যামরা লাগিয়েছে চকরিয়া পৌর প্রশাসন। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে সিসি ক্যামরা নিয়ন্ত্রন ও পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। চকরিয়া পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ মোর্শেদ কে এ কমিটির সভাপতি করা হয়। মূলত তাঁর মাধ্যমেই ৬৪টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়। যার মাধ্যমে দেখা যাবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার এবং পুরো পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মোড়ের অবস্থা। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন ও যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে সিসি ক্যামেরা। তবে, আইনশৃঙ্খলা মনিটরিংয়ের জন্য চকরিয়া থানায় একটি মনিটর অবশ্যই দরকার। মনিটর এ দেখেই থানা পুলিশ যাতে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা ও যানজট নিরসন করতে সুবিধা হয়। তিনি আরো বলেন, মনিটরে দেখার সরাসরি সুযোগ যদি থানা পুলিশের না থাকে তাহলে যানজট বা আইনশৃঙ্খলা অনিয়ন্ত্রিতই থেকে যাবে। সিসি ক্যামেরা মনিটরিং ও স্থাপন কমিটির সভাপতি চকরিয়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (পিএনও) বলেন, এসব ক্যামেরা বসানোর উদ্দেশ্য হলো, পৌরশহরকে যানজটমুক্ত রাখা। এ ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা, সামাজিক অপরাধ তথা চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, মাদকের কারবারসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতা রোধ করা। ইতিমধ্যে এসব ক্যামেরা স্থাপনের কাজও প্রায় শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে বসানো হয়েছে একটি মনিটর। যার মাধ্যমে সরাসরি মনিটরিং করছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পর্যায়ক্রমে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীর কক্ষে একটি এবং চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি’র কক্ষে একটি সহ মোট ৩ টি মনিটর স্থাপন হবে। চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ দাবি পূরণ হলো। উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভাসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহায়তায় এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পিএনও জানান, এসব সিসি ক্যামেরা নাইট ভিশনের এবং পুরোপুরি আইপি ক্যামেরা। তাই যেখানেই অপরাধ কর্মকা- সংঘটিত হোক বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটুক এই ক্যামেরায় ধরা পড়বে।