চীনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রায় এক দশক দায়িত্ব পালনের পর মাত্র ১০ মাস আগে তিনি অবসরগ্রহণ করেছিলেন। শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। একসময়ে তাকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পরবর্তী নেতা বিবেচনা করা হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে সরিয়ে দিয়ে দল ও দেশের ওপর নিজের কর্তৃত্ব আরো দৃঢ় করেন। গত মার্চে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। লি কেকিয়াং আরো উদার বাজার অর্থনীতির সমর্থক ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট শি রাষ্ট্রের আরো নিয়ন্ত্রণ পছন্দ করেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান সিসিটিভিতে বলা হয়, ‘কমরেড লি কেকিয়াং সম্প্রতি সাংহাইয়ে অবস্থান করছিলেন। তিনি ২৬ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কিন্তু সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ২৭ অক্টোবর মধ্যরাতের ১০ মিনিট পর সাংহাইয়ে মারা যান। তিনি গত মার্চে তার শেষ প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাতাস ও মেঘে যত পরিবর্তনই হোক না কেন, চীন তার অবস্থান সম্প্রসারণে অটল থাকবে। ইয়াংজি নদী ও ইয়েলো নদী কখনো পেছন দিকে পানি প্রবাহিত করবে না। তিনি ২০২০ সালে দারিদ্র্য ও আয়ের বৈষম্য নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চীনের ৬০ কোটি মানুষ মাসে ১৪০ ডলারেরও কম আয় করে।