তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশ কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। জীবন দিয়ে হলেও এ নির্বাচন বন্ধ করা হবে।
গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) আরামবাগে সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। জামায়াতের আমিরসহ সব নেতার মুক্তি চেয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী শুধু আল্লাহর আইন চালু করতে চায়। এর বাইরে কিছু নয়। আল্লাহর আইন ছাড়া আর কোনো আইন চলবে না।
এর আগে, সকালে থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর মতিঝিল থেকে কয়েক হাজার জামায়াতের নেতাকর্মী আরামবাগে সমাবেশে যোগ দেন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আজকের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমীর সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নায়েবে আমীর সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।
আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মু. আব্দুল জব্বার, খুলনা মহানগরী আমীর মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, খুলনা মহানগরীর সাবেক আমীর আবুল কালাম আযাদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলীম, সেক্রেটারি এডভোকেট আতিকুর রহমান, রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলওয়ার হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, মাহফুজুর রহমান, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, চট্রগ্রাম মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে নিরাপদে চলে গেছেন জামায়াত নেতাকর্মীরা
মহাসমাবেশ শেষ করে আরামবাগ মোড় ছাড়ছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। কমলাপুর সড়ক হয়ে মানিকনগর বিশ্বরোড হয়ে মিছিল নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন তারা। গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির ও মহাসমাবেশের সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুল সমাবেশ শেষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। সমাপনী বক্তব্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আরামবাগ মোড় হয়ে কমলাপুর রোড দিয়ে মানিকনগর বিশ্বরোড হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।
এরপর জামায়াত নেতারা সামনে-পেছনে বেরিকেড দিয়ে সব নেতাকর্মীকে কমলাপুর রোড হয়ে বের করে নিয়ে যান। এর আগে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল জামায়াত। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় আরামবাগে সমাবেশ করে। সমাবেশে জামায়াতের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। জামায়াতের আমিরসহ সব নেতার মুক্তি চেয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী শুধু আল্লাহর আইন চালু করতে চায়। এর বাইরে কিছু নয়। আল্লাহর আইন ছাড়া আর কোনো আইন চলবে না।