চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মী,পুলিশ ও বিজিবির প্রতিরোধ অপেক্ষা করে কোন পিকেটিং ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ আংশিক প্রভাব পড়েছে চকরিয়ায়। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ছাড়া বাকী সকল গাড়ী স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলক কম সংখ্যক চলেছে। জরুরি পরিবহন ছাড়া দূরপাল্লার পরিবহন দেখা যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। মঙ্গলবার (০১নবেম্বর) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, চকরিয়ার শহিদ আব্দুল হামিদ বাস টার্মিনালে ২৯টি এবং পুরাতন বাস-স্টেশনে ১৩ টি সহ কাউন্টারের সংখ্যা ৪২টি। তবে এর মধ্যে মাত্র ৮টি কাউন্টার খোলা রয়েছে। আর এতে ভোগান্তিতে পরেছেন দুর পাল্লার যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ কাউন্টার থেকে টিকেট দেওয়া হচ্ছে না। তবে টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দাবি, হরতালের কারণে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে যারা এসেছেন তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাবার পর টিকিট বিক্রি করা হবে। আবার অনেকে বলছেন রাস্তায় কয়েক জায়গায় গাড়ি পোড়ানোর খবর পেয়ে গাবতলী থেকে বাস ছাড়ছে না অনেক পরিবহন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শহিদ আব্দুল হামিদ বাস টার্মিনালে ও থানা রাস্তার মাথা জনতা মার্কেট, ঘুরে দেখা যায়, সড়কে তেমন কোনো গণপরিবহন নেই। তাই বেশিরভাগ মানুষই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, লেগুনায় চড়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন। হঠাৎ দুই একটি স্বল্প দূরত্বের বাসের দেখা মিললেও দূরপাল্লার বাসের দেখা মিলেনি কোথাও। এদিকে, মহাসড়কে নিরাপত্তার নিশ্চিতে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশের একাধিক টিমকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি র?্যাবের কয়েকটি গাড়িকেও টহল দিতে দেখা যায়। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ জানান, সড়কে চলমান যানবাহন ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক টিম চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কগুলোতে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর আছে।