মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশের সূচনার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে: তারেক রহমান ইইউ’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গাজীপুর শাখায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত ইসরাইলের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ ছাড়া লেবাননে যুদ্ধবিরতি নয় : গ্যান্টজ গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কারখানায় অগ্নিসংযোগ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক পিন্টু ইন্তেকাল করেছে যশোরের সন্যাসগাছা বাজারে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা মেজর (অব.) জলিলের মৃত্যু বার্ষিকী আজ চট করে নির্বাচন হলে আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জন হবে না; টিআইবি

কুমিল্লার চান্দিনায় পটল চাষে সাফল্য পচ্ছেন কৃষকরা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩

জেলার চান্দিনার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মানুষ পটল চাষ করে কৃষকরা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে পটল চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ওইসব দরিদ্র সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। কয়েক বছর আগে ওই সব জমিগুলোতে কোন প্রকার চাষাবাদ হতো না এবং কৃষকদের অভাব অনটন লেগে থাকতো। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস হতে বীজ, সার দিয়ে কৃষকদের ধানের পাশাপাশি সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।
পটল চাষিরা জানান, প্রতি শতাংশ জমিতে পটল চাষে শ্রেণীভেদে খরচ পড়ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং উৎপাদিত পটল বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।
শ্রীমন্তপুর গ্রামের পটল চাষি মনির হোসেন বাসসকে জানান, এক সময় তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে পটল চাষ করে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তাদের ৬৬ শতক জমিতে পটল চাষ করে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ পটল বিক্রি করে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।
কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বাসসকে জানান, এবার তিনি ১৫ কাঠা জমিতে পটল চাষ করেছেন। চার মাস পটলের জমি পরিচর্যায় গাছে ফল আসতে শুরু করে। এই ১৫ কাঠা জমি আবাদে তিনি এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা পটল বিক্রয় করে ক্যাশ জমিয়েছেন। আগামীতে আরো ১ মাস এমনিভাবে ফসল তুলে বিক্রয় করতে পারবেন বলে জানান। তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে এই জমি হতে ২-৩ মন পটল তুলেন। এখন যতই দিন যাবে ততই আরো বেশী ফসল তুলবেন। প্রতি কেজি পটল তিনি ২৫-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। সামনের দিনে পটলের দাম আরো বাড়বে ফলে আরো বেশী লাভবান হবে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আফরিনা আক্তার বাসসকে বলেন, কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবানে জন্য সরকারের পক্ষ হতে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলায় অনেক জায়গাতে কৃষক পটল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে। আগামীতে অত্র উপজেলায় পটলের আবাদ বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com